ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মার্চ।।এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট হবে। এর লক্ষ্যে কাজ ও চলছে দ্রুত গতিতে। এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটে খেলা হবে, বিষয়টা তো রাজ্য ক্রিকেটের উন্নয়নের পক্ষেই হবে। তাই তো। এই বিষয়টা অন্তত ভালো করে বুঝে গেছেন রাজ্যের ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে একটা অংশের দাবি, এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের নাকি কোনো দরকার নেই। টিআইটি মাঠে তো ফ্লাডলাইট হচ্ছেই। আরে একেমন কথা। দুটো স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট হলে তো রাজ্য ক্রিকেট তথা ক্রিকেটারদেরই লাভ। এতে তো ক্ষতির কিছুই নেই। তবে এই সহজ সত্যটা কিছুতেই মানতে চাইছে না সেই অংশটি। তারা দল বেঁধে টিসিএর সভাপতির কাছে নাকি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন এমবিবি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট প্রসঙ্গ নিয়ে। তাদের অভিযোগ, যিনি এই ফ্লাডলাইটের অনুমতি দিয়েছেন তিনি নাকি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তার নাকি কোনো এক্তিয়ার নেই। আদতে কিন্তু বিষয়টা এরকম নয়। ফ্লাডলাইটের যারা কাজ পেয়েছেন তারা ফিলিপস কোম্পানির লোক। টেন্ডার ড্রপ করেই একদম বৈধ ভাবে এই কাজের বরাত নিয়েছেন তারা। এতে লুকো চুরির কোনো বিষয় নেই। এক্ষেত্রে টিসিএর সঙ্গে তাদের কোনো যোগ সাজস নেই। টেন্ডারে তারা কাজ পেয়ে করে চলেছেন কাজ। এবার প্রশ্ন হলো, সেই গোষ্ঠী টিসিএর সভাপতির কাছে যে অভিযোগ করলো, তার আদতেই কোনো ভিত্তি নেই। কেন না ফ্লাডলাইট যে বসানো হবে, এর আগে তো সিভিল ওয়ার্কের কাজও রয়েছে। এর জন্য তো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের অনুমোদন চাই। যা ই নিলো টিসিএ। এখন বাকি সবটা ব্যাপার ফিলিপস কোম্পানির। হয়তো এই বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছেন না সেই গোষ্ঠীর লোকেরা। তাই অযথা লাফালাফি করছেন বলেই ধারণা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহলের। প্রাপ্ত খবর এরকম যে , এই গোষ্ঠীর লোকেরা হাটে বাজারে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চলেছেন। টিসিএর বর্তমান কমিটিকে হেয় করার জন্যই তাদের এই প্রয়াস বলে অভিযোগ।একই সঙ্গে যারা সভাপতির কাছে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন তাদের কয়েকজন তো টিসিএর জেনারেল বডির সদস্যই নয়। তাহলে তারা কি করে এই অভিযোগ তুললেন। এই করে তো তাহলে সেই গোষ্ঠীর লোকেরা চায় না রাজ্য ক্রিকেটের উন্নতি হোক। যদি চাইতো তাহলে অযথা এই বিষয় নিয়ে এই ভাবে লাফালাফি করতেন না তারা, অভিমত ক্রিকেট প্রেমীদের।
2023-03-18

