মেদিনীপুর, ১৭ মার্চ (হি স)। শুক্রবার ভোরে গোয়ালতোড়ে মানসিক অবসাদগ্রস্ত এক চাষীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রুলিশের অনুমান, বাড়ির বাথরুমে গামছার ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত ব্যক্তির নাম বাপ্পা দাস। তাঁর বাড়ি গোয়ালতোড় থানার জোগাড়ডাঙ্গা এলাকার ভাট মোদি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চাষীর পরিবারের বড় ভাই কলকাতায় থাকেন। ছোট ভাই বাপ্পা দাস গ্রামেই থাকতেন। বাপ্পার দু বিঘার মতো জমি। তাতে চাষ করেই সংসার চলে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরও আলু চাষ করেছিল বাপ্পা। কিন্তু লাভ হয়নি। এ বছরও আলু চাষ করেছে তাতেও লাভ হয়নি। এমন অবস্থায় বাজারে প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল। ঋণ নিয়ে চাষ করেছিল। কীভাবে ওই ঋণ শোধ করবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল বাপ্পা। সেই কারণেই আত্মহত্যা বলে দাবি পরিবারের।
তবে বাপ্পা দাসের স্ত্রী থানায় যে অভিযোগ করেছেন তাতে কোথাও ঋণের জন্য আত্মহত্যা করেছেন এমন কোনও উল্লেখ নেই। সেখানে বলা হয়েছে মানসিক অবসাদের জন্য আত্মহত্যা করেছেন বাপ্পা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । বাপ্পা দাসের পরিবারে মা, দাদা এবং স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে।
এবছর আলু চাষ করে দাম পাননি অনেক কৃষক। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা। কোথাও রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ হয়েছে। কখনও রাস্তা অবরোধ করেছেন। ঘটনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আলুর নূন্যতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে কৃষকদের দাবি, সহায়ক মূল্য বাড়াতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আলু কেনার ঘোষণা করা হয়েছে। তাতেও কৃষকদের সুরাহা হয়নি। অনেক কৃষকের অভিযোগ, এরপরেও অভাবি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। তার সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণীর ফড়েরা। তাই কৃষকরা সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের দাবি, এই বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিক।