মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিজয় মিছিল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মার্চ৷৷  দিল্লী থেকে রাজ্যে ফিরেই রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে বিজয় উৎসবে শামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা৷ উন্নয়নকে সামনে রেখে আগামী পাঁচ বছর সরকার পরিচালনা করতে সংকল্পবদ্ধ বিজেপি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মসনদে বসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ও আইপিএফটি -র জোট সরকার৷ ৩৩ টি আসন নিয়ে শুরু হয় সরকারের পাঁচ বছরের জন্য পথ চলা৷ ত্রয়োদশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা ছিল৷ কিন্তু প্রত্যাশিতভাবে ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন ডাক্তার মানিক সাহা৷ দিল্লি হাই কমান্ড মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আসা রেখেছেন ডাক্তার মানিক সাহার উপরে৷ কারণ তিনি একজন দন্ত চিকিৎসক এবং সৎ নিষ্ঠাবান ব্যক্তি বলে৷ দীর্ঘ পাঁচ বছর বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকারের কাজকর্ম নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছিল৷ উঠেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ৷ বিধানসভা নির্বাচনের ৬ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদলে হয়েছিলেন ডাক্তার মানিক সাহা৷ ২ মার্চ ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়টা নিয়েও এক প্রকার ভাবে রাজনৈতিক মহলে ঝড় শুরু হয়েছিল৷ দাবিদার ছিলেন প্রতিমা ভৌমিকও৷ কিন্তু পরিষদীয় বৈঠকে ধনী ভোটে পাশ করেছেন ডাক্তার মানিক সাহা৷ পাঁচ বছর যাতে জনগণের জন্য সঠিকভাবে কাজকর্ম পরিচালনা হয় তার জন্য মোদি, শাহ এবং নাড্ডা আস্থা রাখলেন মানিক সাহার উপরেই৷ এবং মানিক সাহার নামের উপর শীলমোহর দিতে ভাবতে হয়নি দিল্লিকে৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দন্ত চিকিৎসক মানিক সাহা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর পাড়ি দেন দিল্লি৷ সেখানে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং রাষ্ট্রীয় সভাপতিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাজ্যে ফিরে মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পা মেলান বিজয় উৎসবে৷ এদিন ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি মন্ডলের পক্ষ থেকে বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ বিজয় উৎসবের অগ্রভাগে ছিলেন সিংহভাগ মহিলা৷ এই বিজয় উৎসবে অংশ নেন এলাকায় বিজয়ী প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা৷ পায়ে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে দলীয় কর্মীদের সাথে আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির দ্বিতীয় বারের জয় উৎসর্গ করেন কার্যকর্তাদের৷ কার্যকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে দ্বিতীয়বার ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে তিনি এদিন ধন্যবাদ জানান৷   এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী, মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷