টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দলে রাখা হোক লোকেশ রাহুলকে : গাভাসকর

নয়াদিল্লি, ১৪ মার্চ (হি. স.) : অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে প্রথম দুই টেস্টের পরে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেছিলেন সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। এখন সেই রাহুলকেই আবার ভারতের প্রথম একাদশে চাইছেন গাভাসকর । ভারতের ব্যাটিং গভীরতা বাড়ানোর জন্য গাভাসকর চাইছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দলে রাখা হোক লোকেশ রাহুলকে।

রাহুলকে দলে রাখার নেপথ্যে গাভাসকরের প্রধান যুক্তি, ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও পালন করতে পারেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে নজর কাড়তে পারেননি শ্রীকর ভরত। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পিছনে বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে তাঁকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও তেমনটা হোক, চান না গাভাসকর। সেই কারণে রোহিত শর্মাদের বাড়তি বিকল্পের কথা বলেছেন তিনি।

গাভাসকর আরও বলেছেন, ‘‘রাহুলকে উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলানো যেতে পারে। যদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রাহুল ৫ বা ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামে তা হলে আমাদের ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হবে। কারণ, গত বছর ইংল্যান্ডে ভাল ব্যাট করেছিল রাহল। লর্ডসে শতরান করেছিল। ফাইনালে প্রথম একাদশ বাছাই করার সময় এটা রোহিতদের মাথায় রাখা উচিত।’’

ভরতের উপরে একটুও ভরসা করতে পারছেন না গাভাসকর। তিনি বলেন, ‘‘ঘূর্ণি পিচেই বোঝা যায় এক জন উইকেটরক্ষক কতটা দক্ষ! কিন্তু আমদাবাদের মত সহজ উইকেটেও ভাল দেখায়নি ভরতকে। একটা ঘটনায় সেটা পরিষ্কার। ট্রাভিস হেড বোল্ড হওয়ার সময় ভরতের হাত অন্য জায়গায় ছিল। অর্থাৎ, বল উইকেটে না লাগলে ৪ রান হয়ে যেত। এটা কিন্তু চিন্তার বিষয়।’’

রাহুলের পাশাপাশি ঈশান কিশনের নামও করেছেন তিনি। গাভাসকর বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের পরিবেশে অনেক সময় পেসারের বিরুদ্ধেও উইকেটের ঠিক পিছনেই দাঁড়াতে হয় কিপারদের। সে ক্ষেত্রে রাহুল অনেক ভাল বিকল্প। ঈশানকেও ভাবা যেতে পারে। তবে ভরতের কোনও ভাবেই সুযোগ পাওয়া উচিত নয়।’’

গাভাসকর রাহুলের কথা বললেও ব্যাট হাতে তাঁর ফর্ম চিন্তায় রেখেছে ভারতকে। গত ১০টি ইনিংসে ২৫-এর বেশি রান করতে পারেননি রাহুল। বাধ্য হয়ে তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও রাহুলের প্রশংসা শোনা গিয়েছে অধিনায়ক রোহিত থেকে শুরু করে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মুখে। তাঁরাও ইংল্যান্ডের পরিবেশে রাহুলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন।