নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ শান্তিরবাজার/ চড়িলাম, ১১ মার্চ৷৷ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির বিজয় মিছিল অব্যাহত রয়েছে৷ বড়জলা বিধানসভা এলাকাতেও বিজেপি বিজয় মিছিল সংঘটিত করেছে৷ বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক ডক্টর দিলীপ দাস এবারের নির্বাচনে পাশ করতে পারেননি৷ তদুপরি রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠিত হওয়ায় এলাকায় বিজয় মিছিল সংগঠিত৷ রাজ্যে পুনরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে৷ দ্বিতীয়বার বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুবাদে রাজ্য জুড়ে চলছে বিজেপির বিজয় উৎসব৷ তারই অঙ্গ হিসাবে শনিবার বিজেপি ৪ বড়জলা মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত হয় বিজয় মিছিল৷ এদিন দলীয় কর্মী সমর্থকেরা মিছিলে অংশ নেন৷ গেরুয়া আবির মেখে এবং বাদ্য যন্ত্রের তালে মেতে ওঠেন তারা৷ ছিলেন এই কেন্দ্রের বিজেপি-র বিজিত প্রার্থী ডাঃ দিলিপ দাস, মণ্ডল সভাপতি মুকুল চন্দ্র রায়, গ্রামীন জেলার সভাপতি অসিত রায় সহ অন্যান্যরা৷ দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জানান নেতৃত্বরা৷
বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে অপরদিকে জয়লাভের পাশাপাশি জোলাইবাড়ীর লোকজনেরা প্রথমবারের মতো মন্ত্রী পেয়েছেন৷ এই আনন্দে মাতোয়ারাহয়ে শনিবার বিজেপির উদ্দ্যোগে কলসী ও পশ্চিম পিলাক বাজারে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াংকে সঙ্গে নিয়ে এক বিজয় মিছিল সংগঠীত করাহয়৷ বিজয় মিছিল শেষে সকলে বাজার সভায় মিলিত হন৷ জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন ঘোষনার পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশে জোলাইবাড়ী বিধানসভায় আই পি এফ টি মনোনিতপ্রার্থী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া কে দেওয়াহয়৷ প্রার্থী তালিকা ঘোষনার প্রায় ১০ দিনের মধ্যে প্রার্থী পরিচয় ও প্রার্থীর দলীয় চিহ্ণ পরিচয়ে জোলাইবাড়ী বিধানসভায় পাহার থেকে সমতলে দিবারাত্র কাজ করেগেছেন মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং৷ মন্ডল সভাপতির নির্দেশে সকলে একত্রিত হয়ে জোলাইবাড়ী বিধানসভাকে বামমুক্ত বিধানসভা হিসাবে গঠনকরে রাজ্য সরকারকে উপহার দিয়েছেন৷ তাই রাজ্যসরকার দক্ষিনত্রিপুরায় শুক্লা চরন নোয়াতিয়াকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন৷ শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার জয়লাভের পিছনে প্রিতনিয়ত কাজ করেগেছেন জোলাইবাড়ী বাসীর জনপ্রীয় মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং৷ তাই সকলে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে আজকের এই বিজয় মিছিলের আয়োজন করে৷ বিজয় মিছিলের মাধ্যমে সকলে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যসরকার, মন্ডল সভাপতি ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়াকে ধন্যবাদ জানান৷ আজকের এই পৃথক দুই জায়গায় মিছিল শেষে বাজার সভায় বক্তব্যরাখতেগিয়ে মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং ও মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া জানান বিগত বাম আমলে জোলাইবাড়ী বিধানসভা উন্নয়নের ছোঁয়াথেকে বঞ্চীত হয়েরয়েছে৷ বর্তমান সময়ে এই বিধানসভার উন্নয়মূলক কর্মসূচী করাহবে৷ বক্তারা উনাদের বক্ত্যের মধ্যদিয়ে জানান জোলাইবাড়ী বিধানসভাকে মডেল বিধানসভা হিসাবে গঠন করাহবে৷ নির্বাচনের পূর্বে যে সকল পতিশ্রুতি দেওয়াহয়েছে তা পূরন করাহবে বলে জানান মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া৷ বিজেপি কতৃক আয়োজিত আজকের এই বিজয় মিছিল ও বাজারসভায় ব্যাপকহারে লোকসমাগমঘটে৷ আজকের এই মিছিল ও বাজার সভায় উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়৷
শনিবার সবগুলো জয়ী বিধানসভার সাথে বিশালগড় বিধানসভায় ও উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হল বিজয় উৎসব৷ দুপুর বারোটায় বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিশালগড় বিধানসভার সমস্ত কার্যকর্তাদের নিয়ে বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷কার্যকর্তাদের মধ্যে রঙের আদান-প্রদান, ছিল অর্কেষ্টা ,গান বাজনা, দুপুরের ছয় হাজার কার্যকর্তার মধ্যাহ্ণ ভোজের ব্যবস্থা, কার্যকর্তাদের এই আনন্দের মুহূর্তে নবনির্বাচিত বিধায়ক সুশান্ত দেব ছিলেন তাদের পাশে৷দীর্ঘ পনের বছর পর বিশালগড় বিধানসভা সিপিএম মুক্ত হল৷ পাঁচ বছর আগে পুরো রাজ্যে বিজেপির জয়জয়কার হলেও বিশালগড় ব্রাত্য ছিল৷ শনিবার কার্যকর্তাদের মধ্যে সেই বাঁধনহারা উচ্ছাস পরিলক্ষিত হয়৷বিজয় উৎসবে নবনির্বাচিত বিধায়ক সকল কার্যকর্তাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন৷এই জয় কার্যকর্তাদের জয়৷কার্যকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য এই জয় সম্ভব হয়েছে৷তাই বিশালগড় বাসীর জন্য দিন রাত কাজ করবেন৷প্রত্যেকটা বিশালগড় বাসীর সুখ দুঃখের সাথী হবার জন্য এম এল এ হোস্টেলে না গিয়ে বিশালগড়ের নিজ বাড়িতে থাকবেন৷ শনিবার এই বিজয় উৎসব থেকে বিধায়ক সুশান্ত দেব কার্যকর্তাদের বলেন আগামী পাঁচ বছরে সরকার বিশালগড়ের উন্নয়নে এমন ভাবে কাজ করবেন যেন পাঁচ পরে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া না যায়৷এই কর্মযজ্ঞে প্রত্যেকটা কার্যকর্তার সহায়তা কামনা করেন৷শনিবার ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্থ শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত হলো বিজেপির বিজয় সমাবেশ এবং মিছিল৷ এই কেন্দ্রে পরপর চারবারের বিজয়ী প্রার্থী বিশ্ববন্ধু সেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দে সরকার, ভাইস চেয়ারপারসন মঞ্জুনাথ সহ পুর পরিষদের কাউন্সিলররা৷ তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগর বিভাগের মন্ডল সভাপতি শ্যামল নাথ, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান , কার্যকর্তা, বুথ সভাপতি সহ বিভিন্ন স্তরের বিজেপি দলের সমর্থকরা৷ সমাবেশে মহিলাদের উপস্থিতি লক্ষ্য নিয়েছিল৷ পরবর্তী পাঁচ বছর ধর্মনগরে বিশ্ব বন্ধু সেনের মুখ্য কাজ কি হবে এর উত্তরে তিনি জানান উন্নয়ন এবং আরো বেশি উন্নয়ন৷ যাতে একেবারে নিচুস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেকে রুটি রোজি , খাদ্য , পানীয় জল , স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিটি জিনিসে উন্নত পরিষেবা পায়৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে৷ এই জয় মানুষের জয়৷ উন্নয়নের জয় বলে তিনি জানান৷
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যে গোটা রাজ্যের সাথে রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগেও অনুষ্ঠিত হয় বিজয় উৎসব৷ শনিবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে গন্ডাছড়া ডাকবাংলো চৌমুহনী থেকে বিজয় উৎসবের সূচনা হয়৷
হাজার হাজার দলীয় কর্মী সমর্থক রেলির মাধ্যমে গন্ডাছড়া শহর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে৷ যা লি শেষে গন্ডাছড়ার মধ্য বাজারে অনুষ্ঠিত হয় সভা৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডলের সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার সহ অন্যান্যরা৷ বিজেপি রাইমাভ্যালী মন্ডলের সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান রাজ্যে দ্বিতীয়বার বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় প্রদেশ সভাপতির নির্দেশে গোটা রাজ্য জুড়ে শনিবার বিজয় উৎসবের পালন করা হচ্ছে৷ তারই অঙ্গ হিসাবে এইদিন রাইমাভ্যালী মন্ডলের জাতি জনজাতি সর্বস্তরের মানুষ বিজয় উৎসবে শামিল হয়েছে৷ তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন বিজয় মিছিলের পর এলাকায় যেন কোন ধরনের অশান্তি সৃষ্টি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷
বিজেপি চন্ডিপুর মন্ডল ও কৈলাশহর মন্ডলের যৌথ উদ্যোগে কৈলাসহরের রাজপথে শনিবার এক সুবিশাল বিজয় মিছিল সংগঠিত করা হয়৷ এই বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়, মবশ্বর আলী, কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি, বিজেপি ঊনকোটি জেলার সাধারন সম্পাদক অরুণ সাহা, কৈলাশহর পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় সহ অন্যান্যরা৷ কৈলাসহর পাইতুর বাজারস্থহিত বিজেপি-র জেলা অফিসের সামনে থেকে শুরু হয় বিজয় মিছিল৷ মিছিলটি কৈলাসহর বাজারের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে থানা রোড শ্রীরামপুর হয়ে চন্ডিপুরে গিয়ে শেষ হয়৷ মিছিলে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়৷ এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী টিঙ্কু রায় জানান মানুষের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা নিয়ে পুনঃরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে৷ এখন মানুষের স্বপ্ণ পূরণের পালা৷ ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিজেপি সরকার কাজ করেছে৷ সরকারের অসম্পূর্ণ কাজ গুলি সম্পন্ন করা হবে আগামিতে৷ পাশাপাশি যুব সমাজের কর্মসংস্থান ও গরিব অংশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করবে বর্তমান সরকার৷
.
2023-03-11