চিকিৎসা পরিষেবায় একধাপ এগিয়ে গেলো শান্তির বাজার জেলা হাসপাতাল, গল ব্লাডারের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন

শান্তিরবাজার(ত্রিপুরা), ১০ মার্চ (হি.স.): শান্তির বাজারে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নয়নে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: তমাল সরকার, ডা:সৌরভ লোধ, ডা:অজয় পাল, ডা: বিনয় দেবনাথ, শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডা: প্রসেনজিৎ দাস ও মধুমেহ রোগ বিশেষঞ্জ ডা: শান্তুনু দাস।

তাঁরা প্রতিনিয়ত শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের পরিষেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এদিকে তাঁদের এই কাজে সাহায্যের হাত বারিয়ে দিচ্ছেন শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার জে এস রিয়াং। ফলে প্রথমবারের মতো জটিল রোগের অস্ত্রোপচারে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার বাইখোড়া এস এস বি ক্যাম্প এলাকার এক গৃহবধূর গলব্লাডার স্টোনের প্রথম বারের মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার তমাল সরকার, ডাক্তার সৌরভ লোধ ও ডাক্তার অজয় পালের যৌথ প্রচেষ্টায় এই অস্ত্রোপচারে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছেন। বর্তমানে রোগী ভালো অবস্থায় রয়েছেন। শুক্রবার তাঁর স্বামী শান্তির বাজার জেলাহাসপাতালের এইধরনের চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই অস্ত্রোপচারে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। চিকিৎসক তমাল সরকার জানিয়েছেন, তিনি জেলা হাসপাতালে আসার পর অস্ত্রোপচারের কিছু সরঞ্জাম কম থাকায় সেগুলো আনার জন্য মেডিকেল সুপারের নিকট আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সকল প্রকারের সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে এইধরনের অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো জনিয়েছেন, এই প্রথম শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে গলব্লাডার স্টোনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং এতে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আগামীদিনে হাসপাতালে এইধরনের পরিষেবা প্রদানের চেষ্টা করবে চিকিৎসকরা।

এদিকে মেডিকেল সুপার জে এস রিয়াং জানিয়েছেন, বর্তমানে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চিকিৎসা পরিষেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু জেলা হাসপাতালে কর্মী সল্পতার জন্য এইধরনের অস্ত্রোপচার প্রতিদিন করা সম্ভব হবেনা। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা যতটুকু পারবে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে কর্মী থাকলে প্রতিনিয়ত পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এছাড়া তিনি জানান, বর্তমান সময়ে জেলা হাসাপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে সিটি স্ক্যান পরিষেবা চালু হয়ে গেছে।