হায়দরাবাদ, ৯ মার্চ (হি.স.): দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডাকে আজ বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে নারাজ ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা । বুধবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লি আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় দক্ষিণ ভারতের যোগসূত্র খুঁজতেই কেসিআর কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী লিখিত বিবৃতি পেশ করে জানিয়ে দেন, তিনি আজ হাজিরা দিতে পারবেন না। তাঁর হাজিরার দিন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর বদলে তিনি আগামী ১১ মার্চ হাজিরা দেবেন। তদন্তে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
লিখিত বিবৃতিতে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা জানিয়েছেন, এই দিনে তাঁর আগে থেকেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় তিনি আজ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। তাই তাঁর হাজিরার দিন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়, এই অনুরোধ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, আজ দিল্লির যন্তর মন্তরে তিনি মহিলাদের সংরক্ষণ বিল নিয়ে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
কে কবিতা বলেন, “আমি একজন দায়িত্ববান ভারতীয় নাগরিক। এবং দেশের একজন মহিলা হিসাবে আমি আইনের অধীনে নিজের অধিকার ব্য়বহার করতে চাই। তাছাড়া আমি বুঝতে পারছি না এত কম সময়ে কেন আমায় তলব করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, কোনও রাজনৈতির স্বার্থকেই পূরণ করা হচ্ছে তদন্তের নামে।”
দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে তাঁর কোনও কিছু বলা বা করার নেই বলেই জানান কেসিআর কন্যা। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অভিযোগ করলেও, তিনি ইডির সমন মেনে ৯ তারিখের বদলে আগামী ১১ তারিখ নয়া দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেবেন বলেই জানান কে কবিতা।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলাতেই সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া। ওই দুর্নীতির জাল শুধুমাত্র দিল্লিতেই নয়, দক্ষিণ ভারত অবধি বিস্তৃত হয়েছে বলে অভিযোগ ইডি ও সিবিআই-র। এবং এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন কেসিআর কন্যা কে কবিতা। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে সিবিআই দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ধরে কে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

