আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপরে হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত, দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ঢাকা, ৬ মার্চ (হি.স.) : বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে হিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত। সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। একই সঙ্গে এ ঘটনায় গ্রেফতার বিএনপির এক নেতা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সেখানে পঞ্চগড়ের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতা ফজলে রাব্বী রয়েছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তারা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য এসেছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের কর্মী ও বিএনপির নেতারা জড়ো হয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানটি করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাদের বাড়িঘরে আগুন দেন। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন দেওয়া হয়। এতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্য মারা যান। একজন শিবির নেতা, যিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তিনিও এ ঘটনায় আহত হন। পরে মারা যান।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে ঘটনাটি মোকাবিলা করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখন মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশের কোনও ব্যর্থতা আছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনও গাফিলতি থাকলে তা অবশ্যই দেখা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এছাড়া পুলিশ-সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *