সোনামুড়া-২২৫/৬
সদর- ২২৬/৩
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি।। ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই শক্তিশালী মহকুমা। এবছর রাজ্য সিনিয়র ক্রিকেটের এলিট গ্রুপের ফাইনালে উদয়পুর মহকুমার বিরুদ্ধে খেলবে শক্তিশালী সদর মহকুমা। ধর্মনগর কলেজ স্টেডিয়ামে ২ ফেব্রুয়ারি হবে রাজ্য সেরা হওয়ার ম্যাচ। মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আসরের প্রথম সেমিফাইনালে সদর মহকুমা ৭ উইকেটে পরাজিত করে সোনামুড়া মহকুমাকে। সদরের পক্ষে বিশাল ঘোষ শতরান করেন। ঘন কুয়াশার জন্য এদিন নির্ধারিত সময়ের পর খেলা শুরু হয়। ফলে ওভার কমিয়ে আনা হয় ৪০ শে। সকালে টসে জয়লাভ করে সদরের অধিনায়ক বিশাল ঘোষ সোনামুড়া মহকুমাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। দিনের প্রথম ওভার থেকেই মারমুখি ব্যাট করে সোনামুড়ার ব্যাটসম্যান-রা বুঝিয়ে দেন বড় স্কোর গড়া লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত ২২৫ রান করে ৬ উইকেট হারিয়ে। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অরিন্দম বর্মণ কার্যত মাঠে ঝড় তুলেন। অরিন্দম ৪১ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করেন। এছাড়া দলের পক্ষে রূবেল হুসেন ৬১ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০, দেবরাজ দে ২৯ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪,বচ্চন দাস ৩১ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২১, অনিরুদ্ধ সাহা ৪৫ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ এবং প্রণব দাস ১৬ বল খেলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ রান করেন। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ৩০ রান। সদরের পক্ষে রজত দে (২/৪৩) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই সম্রাট সিনহা (৬) এবং নিরুপম সেন চৌধুরিকে (৭) হারানোর পর সদরের হয়ে রুখে দাড়ান বিশাল ঘোষ এবং কৌশল আচার্য। ‘বুড়ো ঘোড়া’ আখ্যা দিয়ে এবছরও ত্রিপুরা দলে রাখা হয়নি কৌশলকে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে কৌশল কার্যত নির্বাচকদের মুখে ঝামা ঘষে দেন। তৃতীয় উইকেটে বিশাল এবং কৌশল ৮৪ বল খেলে ১৪১ রান যোগ করে সদরকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পথ পরিস্কার করে দেন। অর্ধশতরানের পর কৌশল আরও মারমুখি হয়ে উঠেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ বল খেলে ১২ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৯ রান করে আউট হয়েছেন কৌশল। দলীয় ২০৩ রানের মাথায় বাউন্ডারি মেরে শতরান পূরণ করেন বিশাল। শতরান করতে ৭৪ বল খেলে ১৮ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির মারেন। শেষ পর্যন্ত ২৮.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জযের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলের পক্ষে বিশাল ৭৭ বল খেলে ১৯ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৫ রানে এবং রজত দে ১৫ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে যান।