নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জানুয়ারী৷৷ ঋষ্যমুখ মতাই এলাকায় সিপিআইএম দুষৃকতিদের হাতে আক্রমণের শিকার এক বিজেপি কর্মী,এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য৷নির্বাচন কমিশন জিরো ভায়োলেন্সে নির্বাচন করায় উদ্যোগ রাজ্যে কতটুকু ফল প্রসু হবে তা নিয়ে প্রশ্ণ চিহ্ণ দেখা দিয়েছে জনমনে৷ আগামী ষোল ফেব্রুয়ারি রাজ্যে নির্বাচন৷ ভোট ঘোষণা হওয়ার মাত্রই রাজনৈতিক সন্ত্রাশের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আতঙ্কের ছাপ জনগনের মধ্যে৷ কখনো শাসক দলের নেতা কর্মীরা, কখনো বা বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা রাজনৈতিক সন্ত্রাশের শিকার হতে হচ্ছে৷আদৌ কি জিরো ভায়েলেন্সে নির্বাচন সম্পন্ন হবে কিনা ? এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের মতাই বুড়ো কালিবাড়ি পুরোহিতের উপর আক্রমনের ঘটনায়৷ বাড়িতে ফেরার পথেই নাকি এই পুরোহিত আক্রান্ত হয় মঙ্গলবার রাতে৷ অভিযোগের আঙ্গুল উঠলো সিপিআইএমের দিকে৷ আক্রান্ত পুরোহিতের নাম সুভাষ চক্রবর্তী৷ বর্তমানে মতাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন৷ খবর পেয়ে বুধবার সকালে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে যায় পুলিশ৷ কয়েক জনকে চিনতে পারলেও আক্রমনকারীকে চিনতে পারেনি মাথায় হেলমেট ছিল বলে৷ মতাই বুড়া কালিবাড়ি আক্রান্ত পুরোহিত সুভাষ চক্রবর্তীর কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ জানা যায় এই সুভাষ চক্রবর্তী আট বছর ধরে মতাই বুড়া কালিবাড়িতে পূজা করে আসছেন৷ গতকাল বুড়া কালি পূজা সন্ধ্যারতি শেষ করে, জয়কাত পুরে লোকনাথ উৎসব থেকে মতাই বুড়া কালিবাড়ি কাছাকাছি রাস্তায় চারজন সিপিআইএমের দুষৃকতিকারীর মধ্য থেকে হেলমেট পরনের একজন দুষৃকতিকারী কিল ঘুসি মারতে থাকে পুরোহিতকে৷ এরপর অজ্ঞান হয়ে যায় পুরোহিত৷ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক দেখতে পেয়ে সাথে সাথে পুরহিত সুভাষ চক্রবর্তীকে আহত অবস্থায় মাথায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে বলে জানা যায়৷
পুরোহিতের উপর এই ধরনের আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান মন্ডল সহ-সভাপতি বাদল ভৌমিক এছাড়াও সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল৷
এদিকে শাসক বিজেপি দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে , সুশংকর ভৌমিক ঋষ্যমুখ মন্ডলের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই কর্মী থেকে শুরু করে কার্যকর্তারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হলেও একটি বারের জন্য পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন বোধ করেননী৷ কিন্তু প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি অশেষ বৈদ্য প্রতিনিয়ত কার্যকর্তা থেকে শুরু করে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সুখ-দুখে সাথী হিসেবে কাজ করে গেছেন৷ কোথাও কর্মীরা আক্রান্ত হলে ছুটে গেছেন এই অশেষ বৈদ্য৷ মন্ডল সভাপতির এই ধরনের ভূমিকায় কার্যত ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ঋষ্যমুখ বিধানসভা জুড়ে৷