শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স আয়োজিত স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় বার্ষিক অনুষ্ঠান

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি।। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের উদ্যোগে ওয়ারেংবাড়িতে ‘স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় বার্ষিক অনুষ্ঠান ‘ বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়।

শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের এক মানবিক প্রয়াস এই ‘স্বর্ণগ্রাম’। যা গোমতী জেলার ওয়ারেংবাড়িকে আদর্শ গ্রাম প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরেছে। স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় হলো শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের স্বর্ণগ্রাম প্রয়াসের অন্তর্গত একটি আবাসিক স্কুল প্রকল্প। সহযোগিতায় রয়েছে ওয়ারেংবাড়ির গ্লোরি অ্যাকাডেমি। এই প্রকল্পে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের তরফে স্কুলের আবাসিকদের সবরকম সুযোগসুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য যথাযথ পুষ্টি, পড়াশোনার সামগ্রী, বই, উপযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ, খেলার কোচ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়। গত রবিবার ‘স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় বার্ষিক অনুষ্ঠান’ আসলে স্বর্ণগ্রামের ১২তম বার্ষিক ক্রীড়া দিবস ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হিসেবে এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গৌর চন্দ্র সাহা-র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন বিশেষ অতিথিরা ও গ্রামের এর শিশুরা।  এদিন ‘স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয়’ – এর ছাত্র-ছাত্রীরা যোগব্যায়ামও প্রদর্শন করে। একইসঙ্গে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে একটি স্বাস্থ্য শিবিরও হয়। পাশাপাশি স্বর্ণগ্রাম-এর প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে কম্বলও বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দীপাঞ্জন লোধ, ডক্টর সজল নাথ, ক্রিয়া পর্ষদের যুগ্ম সচিব সরযূ চক্রবর্তী এবং স্বর্ণগ্রামের  প্রবীণ বিশিষ্ট মানুষরা। উপস্থিত প্রত্যেকেই স্বর্ণগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, স্কুলের উন্নতি এবং গ্রামের লোকদের জীবনযাপন আরো ভালো করার ব্যাপারে সহযোগিতার কথা বলেন। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা জানান, ‘ স্বর্ণগ্রাম প্রকল্পটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো এক বিশেষ উদ্যোগ, যা ১৩ বছর আগে শুরু হয়েছিল। আর আজ এই উদ্যোগ এক বড় আকার নিয়েছে। এর জন্য সরকারের যে সংশ্লিষ্ট দফতর সহযোগিতা করেছে তার জন্য কৃতজ্ঞ। রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ-ও বিশেষভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া স্বর্ণগ্রামের মানুষদের কাছ থেকে যে উৎসাহ পেয়েছি তা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।’

সংস্থার আরেক ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, ‘স্বর্ণগ্রাম প্রকল্পটি আমাদের স্বপ্নকেও ছাপিয়ে গেছে। এবং ভবিষ্যতে এই পথ আরো প্রশস্ত হবে। আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। তবে সবাই একসঙ্গে থাকলে এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *