নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জানুয়ারী৷৷ মদমত্ত পিতার হাতে খুন চার বছরের শিশু৷ পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে মাটি চাপা দেওয়া শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ ঘটনা রাজধানীর বলদাখাল এলাকায়৷ রাজ্য সরকারের নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গোড়ার স্লোগান ফিকে৷ অলিগলিতে মদের কাউন্টার খুলে মানুষকে নেশার প্রতি আকৃষ্ট করেছে৷ যার পরিণামে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল আবার৷ পাষণ্ড পিতার হাতে খুন হলো মাত্র চার বছরের শিশু পুত্র৷ মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী রইল মঙ্গলবার রাজধানীর বলদাখাল এলাকার মানুষ৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পাষণ্ড পিতা শ্যামল দাস সোমবার রাতে মদমত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তার পিতাকে গালিগালাজ করে৷ তারপর ঘরে ফিরে স্ত্রী সরস্বতী দাসকে গালিগালাজ করার পর চার বছরের শিশুপুত্র কালু দাস পিতার সাথে ঘুমাতে অনিহা প্রকাশ করে৷ আর তাতেই শ্যামল দাস শিশু পুত্রকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মাথায় রান্না করার সামগ্রী দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে৷ তারপর শিশুপুত্রটির মা সরস্বতী দাসকে ঘরের দরজায় বসিয়ে বাড়ির উঠনের পরিত্যক্ত জলাভূমিতে মাটি চাপা দেয়৷ সরস্বতী দাসকে বলে যদি চিৎকার দেয় তাহলে তাকেও প্রাণে মেরে ফেলবে৷ তারপর মাটির চাপা দিয়ে এসে আবারো মদ প্রাণ করে ঘুমিয়ে থাকে অভিযুক্ত শ্যামল দাস৷ পরের দিন মঙ্গলবার সকালে শ্যামল দাস পোস্ট অফিস চৌমুহনি স্থিত দোকানে চলে গেলে সরস্বতী দাস তার শ্বশুরকে এ বিষয়ে জানায়৷ পরে তিনি প্রতিবেশীকে জানান৷ ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ প্রশাসন৷ দীর্ঘ তিন ঘন্টা চলে উদ্ধারের কাজ৷ শেষ পর্যন্ত জলাভূমি থেকেই উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ৷ পুলিশ উদ্ধার করে মাটি চাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কুদাল৷ অভিযুক্ত শ্যামল দাসকে পোস্ট অফিস চৌমুহনি থেকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় থানায়৷ উদ্ধার মৃত শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের৷ শ্যামল দাসের পিতার অভিযোগ প্রতিদিনের মতো সেদিনও দোকান থেকে ফিরে স্ত্রী এবং শিশু পুত্রকে মারধর করেছে৷ তারপর মেরে মাটি চাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ জানান৷ পুলিশ জানায় ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে৷ অভিযুক্ত পিতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে৷ এদিকে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে৷ এলাকাবাসীর বক্তব্য যখন শিশুটিকে খুন করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল তখন কেন তার মা চিৎকার করেনি৷ তাহলে সাথে সাথে ছুটে আসতে এলাকাবাসী৷ এই ঘটনায় পেছনে কোন রহস্য রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
2023-01-17