আগরতলা, ৬ জানুয়ারি (হি. স.) : জনগণের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা প্রদানই হচ্ছে পুলিশের মূল উদ্দেশ্য। তাই পুলিশই জনগণের কাছে হয়ে উঠেছে সুরক্ষা ও আস্থার প্রকৃত আশ্রয়স্থল। আজ অরুন্ধতীনগরস্থিত মনোরঞ্জন দেববর্মা স্মৃতি স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা শহীদ স্মারকে পুষ্পস্তবক প্রদান করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসন দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করছে। ফলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থাও অনেক বেড়েছে। এই আস্থা ও বিশ্বাস থেকে যাতে কখনও বিচ্যুতি না ঘটে তারজন্য পুলিশকে সবসময় সচেষ্ট থাকতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের কাজকর্মের মাধ্যমেই ত্রিপুরার উন্নয়নের ছবি প্রতিফলিত হয়। বিগত কয়েক বছরে ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ২০২১ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্যে দেশের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা পঞ্চম সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে। আর এই কাজটি পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মা-বোনদের নিরাপত্তা প্রদানে রাজ্যে বর্তমানে ৮টি মহিলা থানা চালু রয়েছে। প্রতিটি থানাতেই ২৪x৭ মহিলা হেল্প ডেস্ক চালু রয়েছে। ফলে রাজ্যের মা-বোনেরা দিনরাত নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। তাদের শুধু লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান প্রয়োজন। ত্রিপুরার টিএসআর জওয়ানদের উৎকর্ষতার পরিচিতি সারা দেশেই রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকেই টিএসআর জওয়ানদের নিরাপত্তার কাজে লাগাতে ত্রিপুরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে টিএসআর জওয়ানরা সুনামের সঙ্গে কর্তব্য পালন করছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। এই কাজে পুলিশের আন্তরিক প্রয়াসের ফলে রাজ্য থেকে প্রচুর নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার থানাগুলির বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণেও সরকার আন্তরিক। পুলিশের সুখ স্বাচ্ছন্দের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমেই এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে উঠবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

