BRAKING NEWS

চিকিৎসককে প্রতারণাচক্রের হদিশ, ধৃত ৬

কলকাতা, ৩১ ডিসেম্বর (হি. স.) : ভুয়ো ‘পে অর্ডার’ দিয়ে গাড়ি কেনার দায়ে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করল। শনিার কলকাতা পুলিশের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তার কনিষ্ক সরকার। নামডাক রয়েছে চিকিৎসক হিসাবে। “নিজের গাড়িটি বিক্রির জন্য খরিদ্দার খুঁজছিলেন। যোগাযোগ হল সম্ভাব্য ক্রেতাদের সঙ্গে। যারা সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট (পে অর্ডার) দিল ডাক্তারবাবুকে। গাড়ি হাতবদল হল গত ২৩ ডিসেম্বর। এবং ২৬ ডিসেম্বর ডাক্তারবাবু ব্যাঙ্ক-মারফত জানলেন, সংশ্লিষ্ট ‘পে অর্ডার’-টি ভুয়ো। অভিযোগ দায়ের করলেন টালিগঞ্জ থানায়। মামলা নথিবদ্ধ হল।

তদন্তে প্রথমে সংগৃহিত হল প্রয়োজনীয় নথিপত্র। পাশাপাশিই চলল সন্দেহভাজনদের ফোনালাপের কাটাছেঁড়া। সঙ্গে নিরন্তর প্রযুক্তি-প্রহরা। আন্তরিক পরিশ্রমের ফল একটা-না-একটা সময় পাওয়া যায়ই। সন্ধান মিলল ছয় অভিযুক্তের। মিঠুন শীল, নিতাই মাইতি ওরফে রাজ, বিজন দাস, চন্দন দে, সুমিত কুমার ঘোষ এবং মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ওরফে সমীর। যাদের গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে, লাগাতার চোদ্দ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস ‘অপারেশনে’।

প্রযুক্তি-প্রহরায় ছিলেন দক্ষিণ বিভাগের সাইবার সেলের সার্জেন্ট শুভঙ্কর চক্রবর্তী। ঘটনায় উল্লেখিত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট, অভিযুক্তেরা পুরনো পাপী। যাদের প্রতারণার শিকার আগেও হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। লোক ঠকিয়ে নিজেদের বিলাসব্যসন-আমোদপ্রমোদ, এই ট্র্যাডিশনই সমানে চলছিল।

অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্তকারি অফিসার টালিগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর পাঞ্চজন্য সরকারের তত্ত্বাবধানে ঘটনার আরও গভীরে যাওয়ার কাজ চলছে পুরোদমে।

ছবি রইল টালিগঞ্জ থানার তদন্তকারী দলের , ছয় অভিযুক্তের ও বাজেয়াপ্ত করা গাড়ির। তদন্তকারী দলের ছবিতে, বাঁ দিক থেকে দাঁড়িয়ে, কনস্টেবল প্রদীপ সরদার, লক্ষ্মী কান্ত পাত্র, আমিন আলী শেখ এবং অরুণ রায়। বসে বাঁ দিক থেকে, সার্জেন্ট প্রভাকর বাগ, টালিগঞ্জ থানার অ্যাডিশনাল ওসি ইনস্পেক্টর বোধিসত্ত্ব প্রামাণিক, সাব ইনস্পেক্টর অজিত কুমার গুপ্ত এবং পাঞ্চজন্য সরকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *