ভুগর্ভস্ত খনি তৈরীর আগে লাউদোহার বৈদ্যনাথপুরে নিরাপত্তারক্ষীর নিয়োগ ঘিরে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৪

দুর্গাপুর, ৩০ ডিসেম্বর (হি. স.) ভুগর্ভস্ত খনি তৈরীর আগে পাঁচামীর সিঁদুরে মেঘ। নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ ঘিরে দুই গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ। ঘটনায় দুই গ্রামের আহত হয়েছে ৪ জন। শুক্রবার সকালে ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল লাউদোহার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও কাঁকসা থানার পুলিশ।

ঘটনায় জানা গেছে, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বৈদ্যনাথপুর ও কাঁকসা ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম এলাকায় (মোট ১৫০ বিঘা জমি) তৈরি হচ্ছে প্রস্তাবিত বেসরকারি ভুগর্ভস্ত কয়লা খনি। ওই কাজটি করছে এক বেসরকারী সংস্থা। সম্প্রতি ওই খনি তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। তার কাটা দিয়ে ঘেরা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেখানে দিন কয়েক আগে নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে বৈদ্যনাথপুর গ্রামের তিনজন ও বিনোদপুর গ্রামের একজনকে নিয়োগ করা হয়। নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে বৈদ্যনাথপুর গ্রামের দুজন নিরাপত্তা রক্ষী কাজে যোগ দিতে গেলে অভিযোগ বিনোদপুরের বাসিন্দারা তাদের তাড়িয়ে দেয়। শুক্রবার সকালে অন্য একজন নিরাপত্তারক্ষী সেখানে গেলে তাকে ও মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ। মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা। আর তাতেই দুই গ্রামের ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে দুই গ্রামের ৪ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা ও দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর নির্মীয়মাণ খনি তৈরীতে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের কাজে নিয়োগ করা বিষয়ে সরপি পার্ক গেস্ট হাউসে বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয় দুই গ্রামের স্থানীয়দের নিয়োগ করা হবে কাজে। বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ,” আলোচনায় দুই গ্রামের সমপরিমান লোক কাজে নিয়োগ হবে। কিন্তু, আলোচনার প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অনুমান স্বজন পোষন ও দুর্নীতি হয়েছে। তাই আমাদের দাবী দুই গ্রামের সমানুপাতে লোককে কাজে নিয়োগ করতে হবে।”
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান,” এই দিনের ঘটনায় রাজনীতির কোন যোগ নেই। এটি দুটি গ্রামের মধ্যে ঝামেলা।” অন্যদিকে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন,” এদিন যা ঘটেছে, তা না ঘটলেই ভাল হত। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।”

এদিন ঘটনা প্রসঙ্গে কোল ব্লক-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে,”পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *