চলতি শীতের মরশুমে ঘন কুয়াশা ও বনভোজনে যান দুর্ঘটনা রোধে এবং জনগণের জীবন সুরক্ষায় করিমগঞ্জে জারি ১৪৪ ধারা

করিমগঞ্জ (অসম), ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : করিমগঞ্জের জেলাশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেসি শাখার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে এক আদেশে চলতি শীতের মরশুমে ঘন কুয়াশার জন্য যান চালকদের রাস্তা দেখায় অসুবিধা ও বনভোজন ইত্যাদিতে যাতায়াতে যানবাহন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এবং জনগণের জীবনের সুরক্ষায় কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, শীতের মরশুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন পর্যটনস্থলে বনভোজনের জন্য যাত্রা শুরু হয় এবং ঘন কুয়াশার জন্য যানচালকদের রাস্তা দেখার দূরত্ব কমে আসে। যার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পাশাপাশি, লক্ষ্য করা গেছে, মদ্যপ অবস্থায় যান চালানো, হেলমেট ছাড়া দ্বিচক্রযান চালানো, অত্যাধিক গতিতে যানবাহন চালানো, ওভারটেক করা, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যানবাহন চালানো, যান চালানোর সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, সারিবদ্ধভাবে যান না চালানো, নিষিদ্ধ দিকে যানবাহন চালানো, সিটবেল্ট পরিধান না করে যান চালানো, যানবাহনের সুরক্ষা বিধি না মেনে যান চালানো ইত্যাদির ফলে বনভোজন এবং অন্যস্থানে যাতায়াতকারী যাত্রী ও অন্যান্যদের জীবন হানির সম্ভাবনা বাড়ছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় সড়ক ও অন্য সড়কে অবৈধভাবে যত্রতত্র যানবাহনের পার্কিং, নির্মাণ সামগ্রীর মজুদ ইত্যাদি এবং সড়কে ঘুরে বেড়ানো বিপথগামী জীবজন্তুর চলাচলের ফলে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। তাই জনগণের জীবনের সুরক্ষার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে জারিকৃত এই আদেশ অনুসারে কোনও ব্যক্তি হেলমেট পরিধান না করে দ্বিচক্রযানে আরোহী নিয়ে চলাচল করতে পারবেন না। পাশাপাশি কোনও ব্যক্তি কোনও সড়কের পাশে অবৈধভাবে যানবাহন পার্ক করতে পারবেন না এবং সড়কের পাশে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর মজুত করা যাবে না।

এদিকে রাস্তায় চলাফেরা করে বাধা সৃষ্টিকারী বিপথগামী জীবজন্তু সড়ক থেকে সরিয়ে কোয়াড়ে প্রেরণ করা হবে। আদেশে সব বনভোজন স্থল ও নিকটবর্তী জলাশয়ে লাইফ জেকেট পরিধান না করে সাঁতার কাটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সূর্যাস্তের আগে বনভোজন দলকে স্থান ত্যাগ করতে হবে। এতে ডাম্পার, ভারি যান, ট্রাক, বাস ও সর্বজনীন যানে অভারলোড নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চশব্দে লাউড স্পিকার, ডিজে, পিএ সিস্টেম, মাইক ইত্যাদি বনভোজন স্থল, নদীর ঘাটে বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে সমগ্র জেলায় বলবৎ হয়েছে এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।