BRAKING NEWS

(আপডেট) বিহারের সরণ জেলায় বিষমদ পান করে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে- ১৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল

ছাপড়া/পাটনা, ১৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : বিহারের সারান জেলায় বিষ মদ কান্ডে বুধবার এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সদর হাসপাতাল ছাপড়া ১৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রশাসন আপাতত এই ঘটনায় কোনও ধরনের মদ খাওয়ার কথা অস্বীকার করলেও নিহতের স্বজনদের দাবি, বিষাক্ত মদ পানের কারণেই সকলের মৃত্যু হয়েছে।
ছাপড়া সদর হাসপাতালের ডাঃ ধনঞ্জয় কুমারের মতে, সকলেই সন্দেহজনক মদ খেয়েছিলেন। কীসের এই সন্দেহজনক মদ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। মধুরার ডিএসপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। স্থানীয় লোকজনের মতে, দেশী মদের একটি বড় চালান মাশরাখ ও ইসুয়াপুর এলাকায় পৌঁছেছিল, যা ৫০ জনেরও বেশি লোক খেয়েছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২০ জনের বেশি। সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সবাই ২০-২০ টাকায় দেশি মদের পাউচ কিনে খেয়েছে। হতাহতরা সবাই এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাস করে। মঙ্গলবার রাতেই হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। বাকিরা বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সদর হাসপাতাল ছাপড়ার দেওয়া মৃতদের তালিকা – মুকেশ শর্মা (৩০ বছর), অমিত রঞ্জন (৩৮ বছর), সঞ্জয় সিং(৪৫ বছর), বিজেন্দর যাদব (৪৬ বছর ) , রামজি শাহ (৫৫ বছর ), কুণাল কুমার সিং (৩৮ বছর), নাসির হুসাইন (৪২ বছর ), জয়দেব সিং (৪৩ বছর ), রমেশ রাম (৪২ বছর ), চন্দ্রমা রাম (৪৮ বছর ), ভিকি মাহতো (১৬ বছর ), ভারত রাম, গোবিন্দ রাম এবং মনোজ রাম । এরা ছাড়াও আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন তাদের স্বজনরা। তাদের মধ্যে হরেন্দ্র রাম, মঙ্গল রাই, অজয় গিরি, লালন রাম এবং প্রেমচাঁদ সাহ ।
মানুষের বিশ্বাস, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিষাক্ত মদের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসতেই সদর হাসপাতালকে সেনানিবাসে পরিণত করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। তবে বিষ মদ সেবনের বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চাইছেন না।
বুধবার সকালে পুলিশ সুপার এস কুমার জানিয়েছেন, সরণ জেলার ছাপড়া এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। সন্দেহজনক মৃত্যুর কারণ জানতে তিনটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি খবর পেয়েছি আরও কয়েকজন অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *