গুজরাট: ২৭১
ত্রিপুরা: ১/০
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর।। গুজরাটকে বাগে পেয়েও কাজের কাজ কিছুই হলো না ত্রিপুরার। মাত্র ৩৩ রানের মধ্যে প্রথম সারির ৫ উইকেটের পতন গুজরাটের। এক্কেবারে খাদের কিনারা থেকে টীম-টাকে টেনে তোলা। পাঞ্চালের অধিনায়কোচিত ভূমিকা। দলকে বিপদ মুক্ত করা। প্রথম প্রয়াসে সতীর্থ প্যাটেলকে জিইয়ে রেখে রান সংগ্রহে সহযোগিতা করা। এতটুকু সাফল্য আসে নি। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে করণ প্যাটেল দীপক ক্ষৈত্রীর বলে ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরলে এবার অধিনায়ক পাঞ্চাল জুটি বাঁধে সি.টি গজার সঙ্গে. একেবারে মুশকিল আসান। ব্যক্তিগত শতকের উল্লাস তো রয়েছেই, উপরন্তু দলকে এক প্রকার চ্যালেঞ্জিং স্কোরে এনে দাঁড় করানোর দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালো অধিনায়ক পাঞ্চাল। ১৭৬ বল খেলে ২১টি বাউন্ডারি সহযোগে ১১১ রান করে সেই মুড়াসিংয়ের কাঙ্খিত পঞ্চম শিকার হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরলে গুজরাট আর বেশিদূর এগোতে পারেনি। রঞ্জি ট্রফির চার দিবসীয় ম্যাচ। আগরতলার এমবিবি স্টেডিয়ামে সফরকারি গুজরাট টসে হারলেও প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায়। শুরুতেই ঝটকা, ৩৩ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেটের পতন। অবশেষে অধিনায়ক পাঞ্চাল, প্যাটেল ও গজা-দের ব্যাটিং নৈপুণ্যে দল ৭৫ ওভার ৩ বল খেলে ২৭১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে। গজা ১১৭ বল খেলে আটটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ৬৮ রান পায়। তবে রাজ্যদলের ফিল্ডারদের একাধিকবার ক্যাচ মিস্ হওয়ার কারণে মাঝপথে পাঞ্চাল, প্যাটেল পুনর্জীবন না পেলে দলের স্কোর দেড়শ’ পেরোনো মুশকিল ছিল। রাজ্য দলের বোলার মনিশঙ্কর মুরাসিং পাঁচটি উইকেট তুলে নেয় ৭৪ রানের বিনিময়ে। এছাড়া, রজত দে দুইটি এবং রানা দত্ত, পারভেজ সুলতান ও দীপক ক্ষৈত্রী পেয়েছে একটি করে উইকেট। দিনের খেলার অন্তিম সময়ে রাজ্য দল ব্যাট করতে নেমে এক ওভার খেলার সুযোগ পায়। কোনও উইকেট না হারিয়ে ১ রান সংগ্রহ করেছে। নাইট ওয়াচম্যানের ভূমিকায় রয়েছেন বিশাল ঘোষ ও বিক্রম কুমার দাস।