হারিয়ে ফ্রে: ইউনিয়নের চমক
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর।।
অপ্রত্যাশিত! লাল -হলুদ দল এ ভাবে ভেঙ্গে পড়বে ভাবতেই পারেননি ফুটবলপ্রেমীরা। শক্তির বিচারে আসরের শেষের সারির দল ফ্রেন্ডস ইউনিয়নে হোঁচট খেলো লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার। ফুটবলপ্রেমীরা মনে করছেন, অত্যাধিক আত্মতুষ্টির খেসারত দিলো খোকন সাহা-র দল। বিপক্ষ দল কিছুটা দুর্বল জেনে ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা হালকা মেজাজে ছিলেন লালবাহাদুরের ফুটবলাররা। আর শেষ পর্যন্ত এতেই ‘কাল’ হলো প্রতাপ সিং জমাইতয়াদের। শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগে ঘটলো এই ঘটনা রবিবার। উমাকান্ত ময়দানে রবিবার ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিলো লালবাহাদুরকে। ম্যাচের শুরু থেকেই ফ্রেন্ডস শিবির চাপে রাখে লালবাহাদুরকে। সুবাদে প্রথমার্ধে গোল ও আদায় করে নেয় ফ্রেন্ডস দল। ১৯ মিনিটে এই গোলটি করে প্রবীর জমাতিয়া। পাল্টা ৩৫ মিনিটে গোল পরিশোধ করে দেয় লালবাহাদুর। জে সি গোলটি করে ম্যাচে সমতায় ফিরিয়ে আনে লালবাহাদুরকে। তবে ভাগ্য যে মন্দই রয়ে গেল লালবাহাদুরের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের গোল আদায় করে নেয় ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে হাচুং জমাতিয়া। ২-১ গোল। এই অবস্থায় আবারও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে লালবাহাদুর। ৫৪ মিনিটে লালবাহাদুরের হয়ে ফের লাকচুং গোল করে ম্যাচে সমতায় ফিরিয়ে আনে লালবাহাদুরকে। ৬৬ মিনিটে কানহরি জমাতিয়া ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের হয়ে তৃতীয় তথা জয়সূচক গোল আদায় করে নেয়। দুই দুই বার ম্যাচে সমতায় ফিরলে ও তৃতীয়বার আর হলো না। সুবাদে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় হাসিল করে নিলো ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন। ম্যাচের সেরা হলেন ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের বিদ্যা চরণ জমাতিয়া। খেলা পরিচালনা করেন বিশ্বজিৎ দাস। এদিনের পরাজয়ের ফলে লিগে অনেকটাই পিছিয়ে পড়সো লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার।