BRAKING NEWS

ফড়নবীসের সঙ্গে দেখা করে আফতাবের ফাঁসির দাবি করলেন শ্রদ্ধার বাবা

মুম্বই, ৯ ডিসেম্বর (হি. স.): শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যা মামলায় মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁর বাবা বিকাশ ওয়াকার। শুক্রবার ফড়নবীসের সঙ্গে দেখা করলেন নিহত শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা বিকাশ ওয়াকার। তাঁর মেয়ের হত্যায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য, ভাসাই, নালাসোপারা এবং তুলিঞ্জ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

শ্রদ্ধার বাবা জানিয়েছিলেন, ফড়নবীস তাঁকে উপযুক্ত ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। শ্রদ্ধার খুনি আফতাব বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হচ্ছে তাকে। এদিন শ্রদ্ধার বাবা জানান, তাঁর মেয়েকে নৃশংস ভাবে হত্যার জন্য ফাঁসি দিতে হবে আফতাবকে। তাছাড়া আফতাবের পরিবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখতে আদলতের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।

এদিন বিকাশবাবু জানান, ” আমার মনে হয় এবার থেকে মেয়েদের ১৮ বছর হয়ে গেলে তাদের স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যাপারে আর একটু চিন্তা করা উচিত। মেয়ে বাড়ি ছাড়ার আগে আমাকে বলেছিল “ম্যায় আব বালিক হো গাই হুন” (আমি এখন প্রাপ্তবয়স্ক)। এরপর আমি তাকে কিছু বলতে পারিনি। ডেটিং অ্যাপ গুলির দিকেও বেশি করে নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগ, পুলিশ আর একটু আগে পদক্ষেপ নিলে হয়তো তাঁর মেয়ে বেঁচে থাকত। নাহলে আফতাবের বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ পাওয়া যেত।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নভেম্বরেই তুলিঞ্জ থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা ওয়াকার। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, আফতাব পুনাওয়ালা প্রায়শই তাঁকে মারধর করত। শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল আফতাব, এমন অভিযোগও করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, আফতাব তাঁকে হত্যা করে, দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। গত ছয় মাস ধরে আফতাব তাঁর উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশে জানালে আফতাব তাঁকে মেরে ফেলবে, ভয়ে আগে জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু, এই লিখিত অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেন তারা ব্যবস্থা কোনও নেয়নি, সেই বিষয়েই তদন্ত চেয়েছেন শ্রদ্ধার বাবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *