পানীয় জলের জন্য হাহাকার, মেশিন ঘরে তালা এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৩ নভেম্বর৷৷  দীর্ঘ দুই বছর ধরে পানীয় জলের জন্য হাহাকার করার পর অবশেষে বাধ্য হয়ে এলাকার পাম্প মেশিনের ঘরে তালা দিলো ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা৷
ঘটনা উত্তর জেলার যুবরাজনগর বিধানসভার রাজনগর গ্রামে৷ ঘটনার বিবরণে গ্রামবাসী ও পাম্প অপারেটর থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে গ্রামের তিন নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একটা অংশের ৪৫ টি পরিবার পানীয় জল পাচ্ছেন না৷ যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে গ্রামের প্রধান অঞ্জনা নাথ, উপপ্রধান রাকেশ নাথ, এলাকার মেম্বার মানিক নাথ সহ বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীকে জানানো হয়৷ কিন্তু বিগত দুই বছর ধরে কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি৷
অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ২০ নভেম্বর সানীয়রা ক্ষোভে পাম্প ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন৷ পরবর্তীতে পাম্প অপারেটর থেকে এই খবর যায় রাজনগর পঞ্চায়েত অফিস সহ ধর্মনগর মহকুমার ওয়াটার রিসোর্স সেন্টার৷সানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ,তারা জলের অভাবে কৃষিকাজ করতে পারছেন না৷ফসলকৃত আনাজ জলের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ তাই তারা বাধ্য হয়ে পাম্প ঘরে তালা দিয়েছেন৷
এদিকে এই খবর সংগ্রহের সময় গ্রামের কিছু অতি উৎসাহী ও নিজেদের শাসকদলের নেতা জাহির করা কিছু যুবক সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা দেয়৷ তারা জানায় তাদের গ্রামের সমস্যা তারা নিজেরা সমাধান করবে৷এখানে সংবাদ মাধ্যমের কোন প্রয়োজন নেই৷ এই হুলিয়া জারির নেতৃত্বরা বুক ফুলিয়ে তাদের নাম জানিয়ে বলে, তারা হলো রবীন্দ্র দেবনাথ, সুনিল নাথ ও কৃষ্ণ দেবনাথ৷ তারা এই সংবাদ সংগ্রহের বিষয়টিকে একটি অন্য রূপ দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে ছিল৷ কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ এদিকে এই পাম্প মেশিন ঘরে তালা দেওয়ার বিষয়ে ধর্মনগর মহকুমার ওয়াটার রিসোর্স অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, এই বিষয়ে তারা অবগত আছেন৷দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকার একটি অংশের লোকজন পানীয় জলের সমস্যায় রয়েছেন বলেও তাদের কাছে খবর রয়েছে৷
এই বিষয়ে দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রুপম অধিকারী জানান, সম্পূর্ণ বিষয়টি দপ্তরের নজরে রয়েছে৷ গ্রামের মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে একটি ওয়ার্ক অর্ডার করা হয়েছে যার কাজ দ্রুত শুরু হবে৷ এদিকে এই ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সহ ধর্মনগর মহকুমার ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *