করিমগঞ্জ (অসম), ২২ নভেম্বর (হি.স.) : একের পর এক বির্তক। গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনাম দখল করে রেখেছে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতাল। একদিন হাসপাতালে রোগীর পক্ষ থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি করায় এক অভিভাবককে করিমগঞ্জের সদর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. লিপি দেব। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ফের চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে।
জানা গেছে, তিনদিন আগে জনৈক গর্ভবতী মহিলাকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল তাঁর সন্তান প্রসবের তারিখ। কিন্তু বেলা একটা অবধি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে পর্যাপ্ত জল না থাকায় মঙ্গলবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে ভরতি মহিলার অভিভাবকরা এ সম্পর্কে হাসপাতাল সুপারিনটেনডেন্টের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁদেরকে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি। আর এ থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
মুহূর্তের মধ্যে রোগীর আত্মীয়রা এসে জমায়েত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে। একসময় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন করিমগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
প্রসূতি বিভাগে ভরতি প্রসূতির মায়ের অভিযোগ, চিকিৎসক ডা. শান্তনু দাসের তত্ত্বাবধানে তাঁর মেয়েকে তিনদিন আগে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার থেকে ডা. শান্তুনু দাস ছুটিতে চলে যাওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. আশিসকুমার বিশ্বাস আজ মঙ্গলবার সি সেকশনের মাধ্যমে অপারেশন করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। সে অনুযায়ী প্রসূতিকে সকাল থেকে কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বেলা একটা পর্যন্ত কোনও ধরনের অপারেশনের ব্যবস্থা না হওয়ায় তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়। এতে রোগিণীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা।
কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে জল নেই, যার দরুন অপারেশন বন্ধ। এই কথা জানতে পেরে তাঁরা শরণাপন্ন হন হাসপাতালের সুপার ডা. লিপি দেবের। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে তাঁরা কোনও সদুত্তর পাননি।
অন্যদিকে হাসপাতালে জল নেই বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্য অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. লিপি দেব। তবে পর্যাপ্ত জল না থাকায় মঙ্গলবার কয়েকটি অপারেশন বাদ দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি নিজে।

