নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর৷৷ বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে পাহাড়ে ততই তিপরা মাথার শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ দিশেহারা হয়ে পড়ার উপক্রম শাসকদল বিজেপি এবং শরিক আইপিএফটি দল৷ নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে৷ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য নির্বাচন দপ্তর প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন৷ স্বাভাবিক কারণেই বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে৷ রাজ্যের মোট ষাটটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কুড়িটি বিধানসভা কেন্দ্র উপজাতি সংরক্ষিত আসন৷ বিধানসভা নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে উপজাতি সংরক্ষিত ২০টি আসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কেননা প্রতিটি নির্বাচনেই উপজাতি সংরক্ষিত আসন গুলির ফলাফলের উপর নির্ভর করে কোন দল রাজ্যে সরকার গঠন করবে৷ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের চিত্রটা একটু অন্যরকম বলা যেতেই পারে৷ কেননা বিগত ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি এবং আইপিএফটি জোটকে রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নেতৃত্বাধীন তিপরা মথা দল ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সব কটি আসনে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ স্বাভাবিক কারণেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নেতৃত্বাধীন তিপরা মথা দল বিধানসভা নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ সে কারণেই প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে আঁতাত গঠন করতে নানা প্রয়াস শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷ এদিকে ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকার ভোটাররাও শাসক দলসহ অন্যান্য দলগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকালে এমডিসি হংস ত্রিপুরার বাড়িতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পূর্ব গোবিন্দবাড়ি এলাকার চার পরিবারের ১৩ জন ভোটার শাসক দল বিজেপি ছেড়ে তিপরা মথা দলে সামিল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এমডিসি হংস ত্রিপুরা৷ তাদেরকে দলে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে৷ এ ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে পাহাড়ে ততই তিপরা মাথার শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ দিশেহারা হয়ে পড়ার উপক্রম ও শাসকদল বিজেপি এবং শরিক আইপিএফটি দল৷
2022-11-17

