শিমলা, ১২ নভেম্বর (হি.স.): গত কয়েক দশক ধরেই হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতার পালাবদলের রাজনৈতিক ধারা রয়েছে। হিমাচল প্রদেশে পাঁচ বছর অন্তর সরকার পরিবর্তনের রীতির অবসান চাইছে বিজেপি। কংগ্রেস অবশ্য পালা বদলের জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে নির্বাচনী প্রচারে। হিমাচল প্রদেশে এবারও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, কম আশাবাদী নয় কংগ্রেসও। আম আদমি পার্টিও জয়ের বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছে।
শনিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, “জনগণ বিজেপি সরকারের পুনরাবৃত্তি করতে চায়, এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছি, তিনি আমাকে আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।” গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য রাজ্যবাসীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জয়রাম ঠাকুর। এদিন সকাল ভোট দিয়েছেন জয়রাম ঠাকুর, তাঁর স্ত্রী সাধনা ঠাকুর ও দুই মেয়ে চন্দ্রিকা ঠাকুর ও প্রিয়াঙ্কা ঠাকুর। ভোট দেওয়ার আগে মন্দিরে পূজার্চনা করেছেন তাঁরা। মান্ডির ৪৪ নম্বর পোলিং বুথে ভোট দেওয়ার পর জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, “জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। মানুষের প্রতিক্রিয়া দারুণ, সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ভোট দিচ্ছেনা।” হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের প্রদেশ সভানেত্রী প্রতিভা সিং বলেছেন, “হিমাচল প্রদেশের সমস্ত মানুষ খুবই উৎসাহী। সবাই নিজেদের ভোট দেবেন এবং রাজ্যে নতুন সরকার গঠনে সহযোগিতা করবেন।”
ধর্মশালা হোক অথবা শিমলা, এদিন সকাল থেকেই হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন পোলিং বুথে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হিমাচল প্রদেশের জনগণের কাছে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ।

