কলকাতা, ৮ নভেম্বর (হি. স.) : নন্দকুমারে তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে বাম-বিজেপি জোট বাঁধেনি বলে দাবি করল রাজ্য বামফ্রন্ট। ওই ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে সোমবার। বিভিন্ন মহলের দাবি, ‘‘বাম-বিজেপি হাত ধরাধরি করে ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে ৬৩টি আসনের সবগুলিতেই হারিয়ে দিয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের।’’
বামেদের তরফে মঙ্গলবার দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ রাজ্যের বাম, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক মনোভাব পোষণ করেন এমন সমবায়ীদের একটি সংগঠন, যা গড়ে উঠেছে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর। এই মঞ্চের সভাপতি ভোলানাথ দত্ত এক বিফৃতিতে জানিয়েছেন, “রাজ্যের সমবায় সমিতিগুলোকে দখল, লুটপাট ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এই মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে সমবায়ের পরিষেবা থেকে সদস্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই জমানায় সমবায় দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে। সচেতন নাগরিকরা এটা জানেন, সমবায় ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেউ কম দায়ী নয়।
এরা সমবায়ের নির্বাচিত পরিচালন কমিটির পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গে বা বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলীয় লোকজনদের দিয়ে মনোনীত পরিচালন বোর্ড তৈরি করেছেন। কেউ কি দেখেছেন বিজেপি বা তৃণমূল দলের কেউ সমবায়ে নির্বাচন চাই-এই দাবি তুলেছেন? আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সমবায়ে নির্বাচন করার উদ্যোগ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ গ্রহণ করেছে। আদালতের নির্দেশে গুটিকয়েক সমিতিতে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে এরূপ সমিতিতে সমবায় বাঁচাও মঞ্চের প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জয়লাভ করেছে।
সমবায়ের নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক ব্যবহৃত হয় না। সমবায়ের সাধারণ সদস্য যদি খেলাপি না হন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। সমবায় বাঁচাও মঞ্চ দলীয় পরিচিতির ভিত্তিতে বা তৃণমূল, বিজেপির দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচন করেনা। লড়াই বিজেপি এবং তৃণমূলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। সমবায়ে যারা প্রার্থী হবেন তারা বিজেপির সমর্থক কিনা এই অনুসন্ধান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় না। বরঞ্চ বিজেপি, টিএমসি-র লুট ও দখলদারির বিরুদ্ধে লড়তে আগ্রহী কিনা সেটাই বিবেচ্য। সেভাবেই প্রার্থী করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সমবায় বাঁচাও মঞ্চের বিরুদ্ধে যে কষ্টকল্পিত, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনে আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করছি।”