টাকার বিনিময়ে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ঘিরে চিকিৎসকদের ভূমিকায় অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ নভেম্বর৷৷  ভগবানরূপী চিকিৎসকদের মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট এর রমরমা ব্যবসা৷অর্থের অভাবে ইন্টারভিউতে যেতে পারছে না গরীব বেকার ছেলেমেয়েরা৷চিকিৎসক নামটি শুনলেই শ্রদ্ধা ভক্তি এবং ভালোবাসা জন্মায় হৃদয়ে৷ কিন্তু সেই ভগবান রুপী চিকিৎসকরা যদি  কসাইয়ের মত দরকষাকষি করে দরিদ্র অসহায় বেকার ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট এর বিনিময়ে ৪০০ /৫০০/ ৬০০ টাকা নেয় তাহলে কি এই সমস্ত চিকিৎসকদের ভগবান বলা যুক্তিসঙ্গত? এই প্রশ্ণ তুলেছেন বিশালগড় চড়িলাম এবং বিশ্রামগঞ্জ এলাকার দরিদ্র অসহায় বেকার ছেলেমেয়ে এবং তাদের অভিভাবকরা৷ সম্প্রতি পুলিশের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে৷ এই পদে চাকরির জন্য সমস্ত কাগজপত্রের সঙ্গে মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষর এবং সিল সম্বলিত মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ এই মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট এর জন্য বেকার ছেলেমেয়েরা বিশালগড় এবং বিশ্রামগঞ্জ চিকিৎসকদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন৷ বিশালগড় এবং বিশ্রামগঞ্জ এলাকার সরকারি চিকিৎসক এবং বিভিন্ন মেডিসিন দোকানে প্রাইভেট চেম্বার খুলে বসা চিকিৎসকরা প্রতিটি বেকার ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট বাবদ  একেবারে দরকষাকষি করে ৪০০/৫০০/৬০০ টাকা নিচ্ছেন৷ অল্প বয়সি কয়েকজন গৃহবধূ    একেবারে কেঁদে ফেলেছেন চিকিৎসকদের কাছে, যাতে করে ২০০ টাকার নেওয়া হয়৷ কিন্তু তাদের কাতর আবেদনে  চিকিৎসকদের মন গলছে না৷  কিছুদিন আগেও পুলিশের এস পি ও পদে চাকরির জন্য মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক ছিল৷ তখনো বিশালগড় এবং বিশ্রামগঞ্জ চিকিৎসকরা ৪০০ /৫০০ /৬০০ টাকা ছাড়া মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়নি৷ এই যদি হয় চিকিৎসকদের আসল চেহারা সমাজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?অথচ নিয়ম অনুযায়ী মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে হয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের৷  তার জন্য কোন টাকা নিতে পারবে না চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম রয়েছে৷ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরে নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে  চিকিৎসকরা অসহায় দরিদ্র বেকার ছেলেমেয়েদের পকেট কাটছে৷ তাদের কথা কেউ ভাবছে না৷ বিশ্রামগঞ্জ চড়িলাম এবং বিশালগড় এলাকার অভিভাবকদের তরফে দাবি উঠছে স্বাস্থ্য দপ্তর যাতে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিবেচনা করে এই সমস্ত চিকিৎসকদের প্রতি ব্যবস্থা নেয়৷ অনেক বেকার ছেলে মেয়ে পুলিশের এই পদে চাকুরীর কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন না একমাত্র মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট এর ভয়ে৷ কারণ তাদের পক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *