পাত্রসায়রে স্মারকলিপি দিতে এসে প্রহৃত বিজেপি কর্মীরা, প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ

বাঁকুড়া, ৮ নভেম্বর ( হি. স.) : পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে, দিন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক হিংসার বাতাবরন তৈরী হচ্ছে। ছবি যেন ক্রমশ ধরা পড়ছে। সোমবার পাত্রসায়রে সার ও শস্যবীজের কালোবাজারির প্রতিবাদে ব্লক কৃষি দফতরে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন পাত্রসায়রের বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, ওই স্থানেই পাঁচ বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধোর করা হয়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পাত্রসায়রে। এই ঘটনার প্রতিবাদে পাত্রসায়র থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সহ বিধায়ক দিবাকর ঘরামী, দলের জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ।তারা তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুললেও ঘাসফুল শিবির তা অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করে, বিজেপির লোকজনের মারে দুই কৃষক আহত হয়েছেন।সার ও বীজের কালোবাজারির প্রতিবাদে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লক কৃষি দফতরে স্মারকলিপি জমা দিতে যান বিজেপি কর্মীরা।

অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় একদল তৃনমূল কর্মী। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন পাঁচজন। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার পাত্রসায়র থানার সামনে ধরনায় বসেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে হলেও শাসকদল তা অস্বীকার করেছে। পাল্টা তারা দাবি করে, তৃণমূলেরই তিনজনকে মারধর করা হয়েছে বিজেপির তরফে।স্থানীয় সূত্রে গিয়েছে, এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। সেইমতোই বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লক কৃষি দফতরেও ডেপুটেশন দিতে যায় তারা। অভিযোগ, যাওয়ার পথে আচমকাই হামলা হয় তাদের লোকজনের উপর। আহতদের দু’জনকে স্থানীয় পাত্রসায়র হাসপাতালেও নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী ব্লক হাসপাতালে। খবর পেয়ে সোনামুখী হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পরে ওই বিধায়ককে সঙ্গে নিয়েই পাত্রসায়র থানায় যান বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহও। তারপরেই তারা থানার সামনে অবস্থানে বসেন।
সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কৃষক সেল থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সারে দুর্নীতির প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিতে যায়। পাত্রসায়রে আমাদের ছেলেরা যেতেই তাঁদের উপর আক্রমণ হানা হল। এটা লজ্জার। তৃণমূলের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সুব্রত দত্তের পালটা বক্তব্য, সার তো কেন্দ্র সরকারই মূলত সরবরাহ করে থাকে। কেন্দ্র দিচ্ছে না আর বিজেপি নেতারা এসে এখানে ডেপুটেশন দিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে, ভুল বোঝাচ্ছে। এই ভুল বোঝানোকে কেন্দ্র করেই কয়েকজন কৃষকবন্ধু ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিজেপির কর্মীদের তর্কাতর্কি হয়। এতে দুই তৃণমূল সমর্থক কৃষক আহত হন। বিজেপির তো আসলে এখানে কিছুই নেই। সাংসদ এসেছিলেন ধরনায় বসতে। অথচ লোকজন কেউ নেই। তা ওনারা উন্নয়ন কেন করছেন না? খুঁজেই তো পাওয়া যায় না ওনাদের।