জিরানীয়া হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা খতিয়ে দেখলেন তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ অক্টোবর৷৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে জিরানীয়া কম্যুনিটি হেলথ সেন্টারে গিয়ে সেখানে হাসপাতালের সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী৷ চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে তিনি সেখানে উপস্থিত হাসপাতালের সকল স্তরের চিকিৎসা কর্মীদের সাথে কথা বলেন৷ প্রতিটি রোগীকে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত সকল চিকিৎসক ও চিকিৎসার সাথে যুক্ত অন্যান্য কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেন৷ প্রতিটি রোগী যাতে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পায় সেই নির্দেশ দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী৷ প্রতিটি রোগী ও রোগীর পরিবারদের সাথে যেনো চিকিৎসকেরা ভালো ব্যবহার করেন সেই নির্দেশও দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী৷ জিরানীয়া মহকুমার মানুষকে চিকিৎসার জন্য যাতে মহকুমার বাইরে না যেতে হয়, এখানকার স্থানীয়  হাসপাতালেই রোগীরা যাতে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পায় সেই ব্যবস্থা করতে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে মন্ত্রী অনুরোধ করেন৷ জিরানীয়া মহকুমাবাসী যাতে আরো উন্নত চিকিৎসা পায় সেই কারণে  আগামীতে এখানে  আরো উন্নত ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস তিনি বৈঠকে প্রদান করেন৷ চিকিৎসাকর্মীদের  একাংশ সময়মতো হাসপাতালে আসেন না এবং সঠিকভাবে তাদের কর্তব্য নির্বাহ করেন না, এই ধরণের  অভিযোগ অনেক রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যদের! এমন ধরণের অভিযোগ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি   চিকিৎসাকর্মীদের সতর্ক করেন৷ রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তব্যে কোনও ধরণের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে শেষবারের মতো বৈঠকে তিনি চিকিৎসাকর্মীদের সতর্ক করে দেন৷ সম্প্রতি এই জিরানীয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩(তিন) জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ/স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ/ এম.ডি মেডিসিন) দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহাকে তিনি জিরানীয়াবাসীর তরফ থেকে ধন্যবাদ জানান৷ আজকে হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দেবাশীষ দাস, জিরানীয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাক্তার রেজিনা রাংখল, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপার্সন প্রীতম দেবনাথ, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *