বহু সমস্যায় আক্রান্ত করিমগঞ্জের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস
করিমগঞ্জ (অসম), ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : করিমগঞ্জে মাইক্রো ফিনান্সের দ্বিতীয় দফার ১,৮৭৩ জন সুবিধাভোগিণীকে চেক বিলির সূচনা করেছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, দক্ষতা, নিয়োগ ও উদ্যোমতা এবং পর্যটন দফতরের মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া। একদিনের সফরসূচি নিয়ে আজ করিমগঞ্জ এসেছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জের জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন মন্ত্রী। জেলার মাইক্রো ফিনান্সের ১৮ জন মহিলা ঋণগ্রহীতার হাতে দ্বিতীয় দফায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ২০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেছেন মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া। এদিনের অনুষ্ঠানে মোট ৫০০ জন সুবিধাভোগীর হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে টাকার চেক প্রদান করা হবে। জানা গেছে, করিমগঞ্জ জেলায় মাইক্রো ফিনান্সের মহিলা ঋণগ্রহীতাদের জন্য ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৯২৬ টাকা রাজ্য সরকার প্রদান করেছে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাইক্রো ফিনান্সের সুবিধাভোগীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেছেন মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া। মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা তাঁর সব প্রতিশ্রুতি পালন করছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্য সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় দফার চেক বিতরণ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। সরকার সকলের উন্নয়ন চায়, এটা এর একটা বড় প্রমাণ।
করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুল যাদবের পৌরোহিত্যে আয়োজিত চেক বিলি অনুষ্ঠানে ছিলেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ, বদরপুরের বিধায়ক আজিজ আহমেদ, এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস, জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, করিমগঞ্জ পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব, বদরপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন রুবি নাগ, করিমগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান দেবব্রত সাহা, করিমগঞ্জ জেলা এসসি বোর্ডের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস, অগপর করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি এমএইচ তাপাদার, বিজেপির প্রদেশ কমিটির কর্মকর্তা বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। ধুবড়ির গোলকগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক এবং রাজ্য ওবিসি বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন মাইক্রো ফিনান্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি এবং সুবিধাভোগীগণ।
এ অনুষ্ঠানের আগে এদিন মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া করিমগঞ্জ শহরের একমাত্র জল সরবরাহকারী জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ পরিচালিত লঙ্গাই রোডে লঙ্গাই নদীর তীরে অবস্থিত ৫০ বর্ষাধিক পুরনো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিদর্শন করেন। ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে করিমগঞ্জের জেলাশাসক, করিমগঞ্জের পুরপতি, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বহু সমস্যায় আক্রান্ত ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। করিমগঞ্জ শহরের জনগণকে এই ট্রিটমেন্ট প্লান্টকে নিয়মিত পরিচালনার জন্য পুরসভা কর্তৃপক্ষকে জলকর হিসেবে ধার্য ৫০ টাকা অবশ্যই জমা দিতে আহ্বান জানান জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া।