আসানসোল, ২৬ অক্টোবর (হি. স.) : চিটফান্ড মামলায় এবার হালিশহর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন প্রতারণা-মামলায় মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে দুর্গাপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-কে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় রাতে গ্রেফতার করা হয় রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠকে। এই নিয়ে বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল পুরপ্রধান রাজু সাহানি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এঁদের মধ্যে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায় এখন জামিনে মুক্ত।
সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার ধৃতকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলে। নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই। সঞ্জয় সিংহের একাধিক ব্যবসায় এই চিট ফান্ড সংস্থার যোগ থাকার খবর মিলেছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একাধিক নাম উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্ধমান সানমার্গ চিটফান্ড মামলায় ধৃত সঞ্জয় সিং-কে এর আগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত জুলাই মাসে অভিযোগ ওঠে, সঞ্জয় দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং-কে বিজেপির হয়ে ফোন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিতে হবে বলে হুমকি দেন। কথা না শুনলে ইডি-সিবিআইয়ের মুখে পড়তে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই সঞ্জয় সিং-কে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার সৌম্যরূপ ভৌমিকের সহকারী ছিলেন সঞ্জয়। সেই সূত্র ধরেই এবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

