ঝাড়গ্রাম, ২২ অক্টোবর (হি.স.): আটদিন পর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গিরিডি জেলার পাথরডিহি গ্রামের যুবক ফিরে পেলেন তার হারানোর মা’কে।ঝাড়গ্রাম এসে হারিয়ে গিয়েছিলেন অলকা বেদি নামে এক বৃদ্ধা। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে পরিবারে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালায়। অবশেষে আট দিন পরে শনিবার ঝাড়খন্ড রাজ্যের গিরিডি জেলার পাথরডিহি গ্রামের বাসিন্দা ছেলে রবি কুমারে হাতে মা আলোকা বেদিকে তুলে দিল ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
পুলিশ ও প্রাশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ১৪ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম থানার শক্তিনগর এলাকায় এক বৃদ্ধাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়রা। তাকে দেখে অনেকে ছেলে ধরা সন্দেহ করে। এদিকে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুততার সাথে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম থানায় নিয়ে আসে। ১৫ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম মহকুমা শাসকের কাছে নিয়ম মাফিক পুলিশ ওই মহিলাকে নিয়ে আসে পুলিশ। মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো লিখিত নির্দেশ দেন যাতে পুলিশ তাকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার দফতরের ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঁচ দিন রাখা হয়। সেই মোতাবেক ওই মহিলা হাসপাতসলে ছিলেন এবং চিকিৎসাও হয় তার। এদিকে পুলিশ ওই মহিলার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এরপর ১৯ অক্টোবর আবারও মহকুমা শাসকের কাছে হাজির করা হয়।তিনি আবারও ওর্ডার করেন হাসপাতালের ওই সেন্টারে রাখার জন্য। এবং পুলিশ যাতে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় তাও বলেন।এদিকে ওই মহিলা নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে পারছিলেন না। পুলিশ পশাপাশি রাজ্য ঝাড়খন্ড, ওড়িশা ও পাশাপাশি জেলা গুলিতে মহিলার ছবি পাঠিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালায়। তারপার এদিন শনিবার ঝাড়খন্ড রাজ্যের গিরিডি জেলার জামুয়া থানার পাথরডিহি গ্রামের বাসিন্দা রবি কুমার স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থানায় আসেন। পুলিশ সনাক্তকরনের জন্য রবি কুমারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ নথি যাচাই করে। তারপর অলোকা বেদি নামে ওই মহিলাকে ছেলে রবি কুমারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো বলেন ” পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছিল।এরপর ওই মহিলাকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার দফতরের ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখার ওর্ডার দেওয়া হয়েছিল।অন্যদিকে পুলিশ খোঁজ খবর চালাতে থাকে ছেলের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। ” এদিকে পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি ছেলে।