কলকাতা, ২২ অক্টোবর (হি.স.): পশ্চিমবঙ্গে হোঁচট খাচ্ছে এনসিসি পরিষেবা। রাজ্য সরকার এই খাতে বরাদ্দ অর্থ মঞ্জুর করছেন না। এই অভিযোগ করলেন অ্যাসোসিয়েট এন সি সি অফিসার (১৪ নম্বর বেঙ্গল ব্যাটেলিয়ন) লেফটেন্যান্ট ডঃ রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি শনিবার এই প্রতিবেদককে বলেন, “পরাধীন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সৈন্য বাহিনীতে জরুরি ভিত্তিতে জোগান অব্যাহত রাখতে জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী বা এন সি সি-র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই স্বাধীন ভারতবর্ষে তরুণ যুবকদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা এবং রাষ্ট্রবাদী ভাবনার গঠনে বিষয়টিকে আরও বিস্তার করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ বিষয় হিসেবে এন সি সি-কে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসার ও রাজ্যের স্কুল-কলেজের প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মেলবন্ধনে সম্পূর্ণ কর্মকান্ডটি চলে।
বিগত পাঁচ-ছ’বছরের একটি প্রবণতা যথেষ্টই চিন্তার উদ্রেক ঘটিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার এন সি সি-র জন্য তার বরাদ্দ অর্থ মঞ্জুর করছেন না।ফলে নতুন শিক্ষকরাও একদিকে প্রশিক্ষণে যেতে পারছেন না। অপরদিকে টাকার অভাবে ছাত্র- ছাত্রীদের বার্ষিক শিবিরগুলিও বাতিল করতে হচ্ছে। বর্তমানে ‘বি’ ও ‘সি’ পরীক্ষার জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের যে বাছাই করা কেডেটরা দিল্লির রাজপথে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করে, তাদের যাত্রাও এই বছর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রশিক্ষণ শেষে অন্যান্য রাজ্য সরকার যে সব সুযোগ সুবিধা এন সি সি ক্যাডেটদের দেয়, তার বিন্দুমাত্র এই রাজ্যে হয় না। অসামরিক দফতরের হাত থেকে শিক্ষা দফতরের হাতে এন সি সি পরিচালনার দায়িত্ব এই সরকার তুলে দেওয়ার জন্য অবস্থা আরও সংকটে পড়েছে।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু থেকে দেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী, জয়া ভাদুড়ী থেকে প্রয়াতা সুষমা স্বরাজ— দেশের নেতৃত্ব গঠনে এন সি সি-র মুকুটে পালকের সংখ্যা কিন্তু কম নয়।”