শ্রীনগর, ১৫ অক্টোবর (হি.স.) : জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারী পাঁচজন সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। ওই পাঁচ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন তানভীর সেলিম, সৈয়দ ইফতিখার আন্দ্রাবী, আফাক আহমেদ ওয়ানি, ইরশাদ আহমেদ খান ও আবদুল মমিন পিয়ার। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের আর্থিক সহায়তার অভিযোগও রয়েছে।
সূত্রের মতে, তানভীর সেলিম দার ১৯৯১ সালে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশে যোগদান করেছিলেন এবং ২০০২ সালে তাকে অক্সিলিয়ারি ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়েছিল। তানভীর সেলিম দার বরাবরই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও মৌলবাদী আদর্শের সমর্থক। সহায়ক ব্যাটালিয়নে মোতায়েনের সময় সেখানে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র মেরামত ছাড়াও তাদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডারের হয়ে শ্রীনগরে ওভারগ্রাউন্ড কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তৎকালীন এমএলসি জাভেদ শালা ওরফে জাভেদ শাহ হত্যায় লস্কর-ই-তৈয়বার আত্মঘাতী সন্ত্রাসীদের সাহায্য করেছিলেন।
সৈয়দ ইফতিখার আন্দ্রাবি বন বিভাগে প্ল্যান্টেশন সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করার সময় লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের জন্য ওভারগ্রাউন্ড কর্মী হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সন্ত্রাসীদের অর্থ সাহায্য করেছিলেন এবং গুলাম কাশ্মীরে বসে থাকা অনেক সন্ত্রাসী নেতার সাথে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছিলেন। তিনি নিজেও এরকম একটি মডিউলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। আফাক আহমেদ ওয়ানি, বারামুল্লার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে একজন ব্যবস্থাপক হিসাবে পোস্ট করেছেন, তিনি ২০২০ সালের জুন মাসে হান্দওয়ারায় ধরা পড়া লস্কর এবং হিজবুল মুজাহিদিনের নারকা সন্ত্রাসবাদ মডিউলের সাথেও যুক্ত। ইরশাদ আহমেদ খান, বারামুল্লার জলশক্তি বিভাগে প্রহরী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিরাপদে রাখার জন্য কাজ করতেন। আব্দুল মমিন পীর নারকে সন্ত্রাসী মডিউল চালাচ্ছিলেন। হাওয়ালার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অর্থের ব্যবস্থাও করতেন।