নয়াদিল্লি, ১২ অক্টোবর (হি.স.) : যত দিন দরকার ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-এর নেতারা। ইউক্রেনে গত সোমবার রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার এক জরুরি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে জি-৭-এর নেতারা এ ঘোষণা করেছেন। সম্মেলনে জোটের নেতারা বলেন, তাঁরা ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও যত দিন প্রয়োজন, তত দিন ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী ক্রিমিয়ার কার্চ সেতুতে গত শনিবার বিস্ফোরণ হয়। এ বিস্ফোরণের পরই সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে ৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হন। আহত হন বহু লোক। গতকালও ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তাৎক্ষণিক নিন্দা করেছে পশ্চিমা নেতারা। আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ইংল্যান্ড ও জাপানকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোট গতকাল ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আর্থিক, মানবিক, সামরিক, কূটনৈতিক ও আইনি সমর্থন অব্যাহত রাখব। যত দিন প্রয়োজন, আমরা ইউক্রেনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানিয়ে যাব।’ নিজেদের মতো করে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ক্রেমলিনের পদক্ষেপেরও নিন্দা জানিয়েছে জি-৭। জোটের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে অংশ নিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সামর্থ্য বাড়াতে জি-৭ নেতাদের সহায়তা চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।এছাড়া ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে একটি আন্তর্জাতিক মিশনের প্রতি সমর্থন দিতেও জেলেনস্কি জোটের প্রতি আহ্বান জানান। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক জোটটির প্রধান বলেন, ন্যাটোর আরও অস্ত্র উৎপাদন দরকার। কারণ, যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের সরবরাহ কমে গেছে। এ নিয়ে সদস্যদেশ ও প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো।