BRAKING NEWS

বেহাল রাস্তা, পুজোর আনন্দে ভাটা, ব্লক চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভুক্তভোগী জনতা

কদমতলা (উত্তর ত্রিপুরা), ৪ অক্টোবর (হি.স.) : বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। আর এবারের পূজার শুরু থেকে এমনিতেই ঝড়-বৃষ্টিতে নাজেহাল সমস্ত রাজ্যের মানুষ। অপরদিকে বেহাল রাস্তার দরুন পূজা উপভোগ করতে না পেরে ভুক্তভোগী জনগণ আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ব্লক চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকায়।

উল্লেখ্য কদমতলা আরডি ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন কদমতলা থেকে জুমটিলায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ভগ্নদশায় পরিণত হওয়ার ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার জনগণ। অভিযোগ, স্থানীয় ব্লক এবং পঞ্চায়েত কার্যালয়ে রাস্তা মেরামতির দাবি জানানো হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।

কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে কিছুটা ইটের টুকরো এবং মাটি ফেলে দায়িত্ব খালাস স্থানীয় নেতৃত্ব সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের। দু-তিনদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ওই রাস্তাটি বেহাল থেকে আরও বেহালতর হয়ে পড়ে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে আকার ধারণ করেছে। গাড়ি বাইক নিয়ে চলাচল তো দূরঅস্ত্, পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে বৃহত্তর গ্রামীণ এলাকার রাস্তাটি।

স্থানীয় এক মহিলা ক্ষোভের সুরে বলেন, সরকার কিংবা দল-বিরোধী কোনও কথা আমরা বলছি না। দলের সঙ্গেও আছি এবং পক্ষে আছি আমরা। আমাদের কষ্টের কারণেই আজ কথা বলতে বাধ্য হয়েছি। ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বেরোতে পারছে না। স্কুলে নিয়ে যেতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া প্রায়ই ছোট-বড় যান দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে।

ভুক্তভোগী আরও এক গৃহবধূ বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালে কয়েকটি ইটের টুকরোর ওপর মাটি ফেলার সময় এলাকার মানুষ বাধা-আপত্তি করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এভাবে গর্তে কয়েকটি ইটের টুকরো ফেলে উপরে মাটি দেওয়া হলে প্রচণ্ড কাদায় পরিণত হবে। পুজোয় গ্রামের মানুষ বের হতে পারবেন না। কিন্তু তখন কেউ কোনও কর্ণপাত করেননি। আমরা কি কোনওভাবে সরকারকে সাহায্য করি না। তাহলে আমাদের এই দুর্ভোগ কেন। রাস্তার ভগ্ন দশার কারণে পাড়ার পুজোয় মানুষ আসতে পারেননি বলেও জানান গৃহবধূটি।

পুজোর পর স্থায়ী সমাধান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন গ্রামের ভুক্তভোগী জনগন।

এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব বিক্ষোভকারীদের কথা দিয়েছেন, পুজোর পরেই বেহাল রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং আজই তিনি গ্রামের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচলের কিছুটা উপযোগী করে তুলেন রাস্তাটি। তবে গ্রামের মানুষের পুজোর আনন্দে যে ভাটা পড়েছে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *