ফাঁসিদেওয়া, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ব্যাঙ্গালোর থেকে ফিরল ফাঁসিদেওয়ার লক্ষ্মীরাম হেমব্রমের নিথর দেহ ।পঞ্চমীর দিন বাড়িতে ফিরল সাদা কাপড়ে মোড়া লক্ষ্মীরামের নিথর দেহ। আর তাতেই বাঁধভাঙ্গা কান্নায় ফেঁটে পড়ল মৃতের পরিবার। বাবা, মা, স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তানকে রেখে চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকাজুড়ে।
প্রায় ২৬ দিন আগে লক্ষ্মীরাম এবং এলাকার আরেক যুবক সাফেনিয়াল কিসকু কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি জমান। আর সেখানেই গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সি লক্ষ্মীরামের। ওইদিনই নির্মাণ সংস্থার তরফে খবর আসে লক্ষীরাম আর বেঁচে নেই। এই কথা শুনে লক্ষ্মীরামের স্ত্রীর আরতি মুর্মুর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল। একদিকে, অসুস্থ বাবা, অন্যদিকে কিছুদিন আগেই অপারেশন হয়েছে স্ত্রীর। আর্থিকভাবে দৈন্যদশায় ভুগতে থাকা পরিবারের কাছে সৎকার করারও টাকা নেই।
এই অবস্থায় লক্ষ্মীরামের সৎকার করার খরচ জোগাড় করতে যখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিল পরিবারটি, তখনই প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। চাঁদা তুলে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্মীরামের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। মহম্মদ সাবির আলি বলেন, আমরা সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। স্ত্রী আরতি মুর্মুর কথায়, আগেও একাধিকবার স্বামী কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার কাজে গিয়ে আর তিনি ফিরলেন না। এখন ২ শিশুকন্যা ও শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে কিভাবে সংসার চলবে তা বুঝে উঠতে পারছেনা না তিনি। সরকারের কাছে তিনি আর্থিকভাবে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।