সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব, বামেদের বিঁধল বিজেপি

আগরতলা, ২৯ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় চিকিত্সকদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হয়েছে। ২৭৭ জন চিকিত্সকের পদোন্নতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ হাজার ৫৮১ জন কৃষকের কাছে ক্ষতিপূরণের ৬০ কোটি ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে। ৫৭৬ জন শিক্ষক পদে চাকুরীর অফার পেতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, ২৫ বছরে ৭০০ টাকা ভাতা সাড়ে চার বছরে বেড়ে ২০০০ টাকা হয়েছে। তাতেই প্রমাণিত, সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য এভাবেই ত্রিপুরা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বামেদের কড়া ভাষায় বিঁধেছেন।

এদিন নবেন্দু বলেন, ত্রিপুরায় প্রথম বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। তার তীব্রতা এতটাই মারাত্মক ছিল, গ্যাড়াকল থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, বিজেপির দাবি ছিল, চিকিত্সকদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে। সে মোতাবেক তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হোক। তাঁর বক্তব্য, বাম আমলে পদোন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি পে স্কেল কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এত বছর ধরে বামেদের নীতি মেনেই চিকিত্সকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। দীর্ঘ ৩৮ বছর পর সেই বঞ্চনার অবসান হয়েছে। ত্রিপুরা সরকার ২৭৭ জন চিকিত্সকের পদোন্নতি দিয়েছে।

নবেন্দুর কটাক্ষ, অনেকেই জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে চাকুরীতে যোগ দিয়ে ওই পদেই অবসরে গেছেন। এমনকি বাবা জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর ছেলেও একই পদে চাকুরীতে যোগ দিয়েছেন। দুজনেই একই পদে অবসরে গেছেন। তাঁর দাবি, চিকিত্সকদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হলে মানুষ আরও ভাল পরিষেবা পাবেন। চিকিত্সকরা উপকৃত হওয়ার সাথে তার প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর পরবে।

এদিন তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপে কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ হাজার ৫৮১ জন কৃষকের কাছে ক্ষতিপূরণের ৬০ কোটি ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বিদ্রুপের সুরে বলেন, বাম আমলে কৃষকদের মাঠ থেকে ডেকে এনে রাস্তায় নামানো হয়েছে। অথচ, তাঁদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার বদলে কেন্দ্রকে দোষারোপ করেছে। তিনি বলেন, সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের জন্য বামেরা শুধুই চিত্কার করেছেন। ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের পর কৃষকরা সেই সুফল ঘরে তুলেছেন।

নবেন্দুর দাবি, শিক্ষক পদে ৫৭৬ জনকে অফার দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ২৫৮ জন ইতিমধ্যে অফার পেয়ে গেছেন। সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও বিজেপি জোট সরকার পূরণ করেছে। তাঁর কটাক্ষ, ২৫ বছরে ৭০০ টাকা ভাতা সাড়ে চার বছরে বেড়ে ২০০০ টাকা হয়েছে। তাঁর দাবি, সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব হয়। বিজেপি জোট সরকার ত্রিপুরায় তা করে দেখিয়েছে। তবুও, বামেরা ভাতা নিয়ে সমালোচনা করছে। কারণ, বহু পুরুষের বিধবা ভাতা এবং যুবকের বৃদ্ধ ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে, বিদ্রুপ করে বলেন তিনি।তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর বিজেপি দাবি জানিয়েছিল, ভাতা প্রদানে তালিকা সংশোধন করা হোক। তাই, অনেকটা বিলম্ব হয়েছে। কারণ, তালিকা সংশোধনে কিছুটা সময় লেগেছে। তাতে, বহু ভুয়ো ভাতা প্রাপক তালিকা থেকে বাদ গেছেন। ত্রিপুরা সরকারের সমস্ত পদক্ষেপের জন্য বিজেপি ধন্যবাদ জানাচ্ছে, বলেন তিনি। হিন্দুস্থান সমাচার/সন্দীপ