ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ সেপ্টেম্বর।। ত্রিপুরা রাজ্যের সন্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন টিসিএ’র একজন অফিস বিয়ারার। পদে তিনি টিসিএ’র ট্রেজারার। নাম তাপস ঘোষ। বর্তমানে টিসিএ’র চারটি টিম রাজ্যের বাইরে রয়েছে। একটি দল জয়পুর, তো আরেকটি দল চেন্নাই, তৃতীয় দল রয়েছে পশ্চিম বাংলায়। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি টিসিএ’র ট্রেজারার তাপস ঘোষের নিজস্ব চিন্তাধারা কারণে এখন রাজ্যের এই দল গুলোর হাল বড়ই বেহাল। টাকার অভাবে দলগুলো ভুগছেন বহিঃরাজ্যে। টিসিএ থেকে কোনো টাকাই পাঠানো যাচ্ছে না দলগুলোর খরচের জন্য। কারণ ট্রেজারার তাপস ঘোষ স্বাক্ষর করছেন না। তিনি নাকি ভয় পাচ্ছেন টিসিএ’র চেকে সই করতে। এটা কেমন ভয়। যেখানে যুগ্ম সচিব, সভাপতি দুজনে সই করতে রাজি আছেন রাজ্যের ক্রিকেট তথা ক্রিকেটারদের স্বার্থে, সেখানে তাপস ঘোষের এহেন অনীহা কেন? বার কয়েক টিসিএ’র পক্ষ থেকে সভাপতি ও যুগ্ম সচিব ট্রেজারারকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন। তবে তিনি কিছুতেই সই করতে নারাজ। এর ফলে বহিঃ রাজ্যে ধুঁকছে রাজ্যের দলগুলো। এটা তো জেনে শুনে রাজ্যের বদনাম করার সামিল। এমন পরিস্থিতি তো কোনো সময়ই হয়নি টিসিএতে। ২১ শে অক্টোবর নির্বাচন টিসিএ’র। এতে আগামী তিন বছরের জন্য গঠিত হবে নতুন কমিটি। তবে এর আগের সময়টা কাজ চালানোর জন্য টিসিএ ইলেকশন অফিসার এবং আইনি পরামর্শ মেনেই সব কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলে ও তাতে বাগড়া দিয়ে বসে আছেন সেই ট্রেজারার তাপস ঘোষ। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি তিনি জেনে শুনে রাজ্যের সম্মান নিয়ে খেলছেন। এত বড় সাহস তিনি পেলেন কোথা থেকে। তাপস ঘোষের এহেন ভূমিকা কিন্তু মোটে ও ভালো চোখে দেখছেন না কেউই। রাজ্যদল গুলোর পারফরমেন্স এর উপর ও কিন্তু প্রভাব পরবে এই বিষয় নিয়ে। কেন না তারা টাকার জন্য যদি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণই করতে না পারে, তাহলে এই লজ্জার দায় নেবেন কি তাপস ঘোষ। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা ঘটলো বুধবার। চেন্নাইয়ে রাজ্যের অনুর্ধ ১৯ মহিলা দল। পন্ডি চেরি যাবেন তারা। তবে তাদেরকে হোটেলে আটকে রাখা হলো বেশ কিছুক্ষণ। কেন না টিসিএ থেকে তাদের জন্য হোটেল খরচ পাঠানো হয়নি। এই খবর টিসিএতে আসতেই সভাপতি ও যুগ্ম সচিবের মাথা হেট হয়ে যাবার উপক্রম। রাজ্যের ক্রিকেটাররা টাকার জন্য হোটেলে বন্দি, বিষয়টি ভাবলেই কি রকম লাগে। তড়িঘড়ি টিসিএ থেকে সেই হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বোঝানো হয় হোটেল কতৃপক্ষকে। এরপর টিম রওনা হলো পন্ডিচেরির উদ্যেশ্যে। এগুলো কেন যে করছেন তাপস ঘোষ, তা নিয়েই উঠছে অবিরাম প্রশ্ন। এদিন টিসিএর তরফে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই আফসোস গুলো করলেন সভাপতি তপন লোধ। বৃহস্পতিবার এপেক্সের মিটিং ডাকা হয়েছে টিসিএতে। সেখানে ট্রেজারারকে ফের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে বলেই জানালেন সভাপতি তপন লোধ। তবে যেই কাজ গুলো বর্তমানে তাপস ঘোষ করছেন, তাতে কিন্তু রাজ্যের সন্মান নষ্ট ই হচ্ছে। বাড়ছে না কিন্তু।