আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : আপাতত নতুন শরিকের সন্ধানে যাবে না বিজেপি। ত্রিপুরায় ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে পুরনো শরিক দলের সাথেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দল। তবে, পাহাড়ে দুর্বল হয়ে পড়লে শক্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব শরিক দলকেই নিতে হবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বিজেপির চিন্তন বৈঠকের নির্যাস তুলে ধরেন দলের প্রধান মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি অধিক আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরবে।
এদিন সুব্রত বাবু বলেন, বিজেপি সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বি এল সন্তোষের পৌরহিত্যে দুইদিনের দফাওয়ারী বৈঠকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল এবং রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি সমস্ত পদাধিকারী, কোর কমিটির সদস্য, বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে ৬০ বিধানসভা আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার নীল নক্সা একে দিয়েছেন।
সুব্রত-র কথায়, বৈঠকে ত্রিপুরার প্রভারী সাংসদ ডা. মহেশ শর্মা, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কো-অর্ডিনটর সাংসদ ডা. সম্বিত পাত্রা, অসম ও ত্রিপুরার সাংগঠনিক সম্পাদক ফনীন্দ্র নাথ শর্মা, মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, রাজ্য সভায় নব নির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, লোক সভার সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সমস্ত প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকগণ এবং প্রদেশ কমিটির বিভিন্ন পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদেশ বিজেপি প্রধান মুখপাত্র বলেন, বৈঠকে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বি এল সন্তোষ নির্বাচনী রণনীতি নির্ধারণ এবং রূপরেখা স্থির করার উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকেই ত্রিপুরার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। সাংগঠনিক বিষয় তুলে ধরেছেন। তাতে, বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে জনমনে বিরোধীদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি।
তিনি জানান, বিরোধীরা মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সরকারের কাজকর্মের ভুল ব্যাখ্যা করছে। সরকারের জনহীতকর কাজের বিষয়ে মানুষের মনে সঠিক ধারণা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সকলকে ঝাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ এসেছে।এদিন সুব্রত বাবু সাফ জানান, বর্তমান শরিক দলের সাথেই বিজেপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এক্ষেত্রে পাহাড়ে তাঁদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার দায়িত্ব আইপিএফটিকেই নিতে হবে। তাঁর সাফ কথা, নতুন শরিক দলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের এই মুহুর্তে কোন চিন্তাভাবনা করছে না বিজেপি। তবে, আসন বন্টনের বিষয়টি পরবর্তী সময়ে স্থির করা হবে।