BRAKING NEWS

Dr Manik Saha:প্রথম দিনেই বিনয়ী বার্তা, বিধানসভায় জনস্বার্থ ও জনগণের সমস্যা নিয়ে বাস্তব প্রেক্ষিতে গঠনমূলক আলোচনা হওয়াটাই প্রত্যাশিত : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৩ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরা বিধানসভায় অধিবেশনে আজ তাঁর প্রথম দিন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি আজ প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। প্রথম দিনেই বিধানসভায় জনস্বার্থ ও জনগণের সমস্যা নিয়ে বাস্তব প্রেক্ষিতে গঠনমূলক আলোচনা হওয়াটাই প্রত্যাশিত বলে সকল সদস্যের প্রতি বিনয়ের আবেদন রাখেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।

তাঁর কথায়, ত্রিপুরাবাসী যে ভরসা ও আস্থা-বিশ্বাস রেখে গণতন্ত্রের মন্দির বলে খ্যাত পবিত্র রাজ্য বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিত্ব করার জন্য দায়িত্ব দিয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন সেই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে হবে। জনগণের সেই আস্থা ও ভরসাকে মাথায় রেখে দলীয় আদর্শগত মতান্তর এবং আরোপ প্রত্যারোপের মধ্যেও জনকল্যাণকর বিষয়গুলি নিয়ে শাসক-বিরোধী সকলে মিলে সহমতের ভিত্তিতে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

তাঁর আশা, এখানে গঠনমূলক আলোচনা এবং সমস্ত সদস্য সদস্যাদের পরস্পরের সৌজন্যতায়, শ্রদ্ধাবোধে পবিত্র বিধানসভার গরিমা আরও উজ্জ্বল হবে। এভাবে গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর আজই প্রথমবারের মতো বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। এদিন সভা শুরু হওয়ার পর বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন।

বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাবাসীর আশীর্বাদ নিয়ে এবং সাংবিধানিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের শপথ নিয়ে এই প্রথমবার ত্রিপুরা বিধানসভার অধিবেশন উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত গৌরবান্বিত বোধ করছি। গণতন্ত্রের পীঠস্থান বলে সর্বজনবিদিত পবিত্র বিধানসভায় ত্রিপুরাবাসীর কল্যানার্থে বিধানসভার সদস্য ও সদস্যাগণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন এবং নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে আলোচনাক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। এর পাশাপাশি বিজনেস এডভাইজারি কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে অধিবেশনের প্রতিদিনের যে জনকল্যাণকর কর্মসূচি নির্ধারিত হয়ে থাকে সেগুলি বিধানসভার কার্য পরিচালন ও নিয়মাবলী বিধি অনুসরণ করেই প্রতিটি বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।

সাথে তিনি যোগ করেন, জনস্বার্থমূলক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জনাও শাসক-বিরোধী সদস্য সদস্যাগণ অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যা গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় ও সুসংহত করার লক্ষ্যে আগামীদিনেও এই বিধানসভার সমস্ত সদস্য সদস্যাদের কাছে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।তাঁর মতে, বিধানসভায় জনস্বার্থ ও জনগণের সমস্যা নিয়ে বাস্তব প্রেক্ষিতে গঠনমূলক আলোচনা হওয়াটাই প্রত্যাশিত। সমস্যা জানা থাকলে সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পবিত্র বিধানসভার কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বরাবরই সমস্ত সদস্য ও সদস্যাগণ অধ্যক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা করে এসেছেন এবং আগামীদিনেও এই বিধানসভার পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সঙ্গে বিধানসভার সমস্ত সদস্য সদস্যাদের শারদোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *