রাজগঞ্জ, ২০ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের একটি জুট মিল শ্রমিককে মারধর করাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল মিল । পুজোর মুখে কাজ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বেতন ও বোনাস পাওয়ার অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০০ শ্রমিক। অভিযুক্ত সিকিউরিটি ইনচার্জকে গ্রেফতার করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে কারখানার ম্যানেজার সুখময় মহান্তি বাইরে থাকার অজুহাত দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
রাজগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, এক শ্রমিককে মারধর করার অভিযোগে সিকিউরিটি ইনচার্জকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ওই আহত শ্রমিক তার কোচবিহারের বাড়িতে চলে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। রাজগঞ্জের পানিকৌরি এলাকায় একটি জুট মিল রয়েছে। অভিযোগ, সোমবার রাতে কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ মহম্মদ ফকিরা বিনা কারণে সজল দে নামে এক শ্রমিককে ব্যাপক মারধর করেন। অন্য শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে কাজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। রাতেই শ্রমিকরা কারখানায় ও রাজগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক নিতাই মণ্ডল। শ্রমিকদের তরফে গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযুক্ত সিকিউরিটি ইনচার্জকে গ্রেফতারের জন্য রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিজেপি নেতা নিতাই মণ্ডলের বক্তব্য, ‘একজন পরিযায়ী শ্রমিককে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। তাই মানবিকতার খাতিরে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দেখে তৃণমূলের কয়েকজন স্থানীয় নেতা রাজনৈতিক ফয়দা নেওয়ার জন্য পাশে দাঁড়ানোর নাটক করে।‘
এদিকে অভিযুক্ত সিকিউরিটি ইনচার্জের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন কারখানার শ্রমিকরা তবে এদিন কারখানার তরফে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু পুজোর মুখে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।