পূর্ব মেদিনীপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির দায়ে শুক্রবার মাঝরাতে ওড়িশার একটি হোটেল থেকে তাঁর স্কুলের প্রধানশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল? দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে দিঘায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার অন্তর্গত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করতেন এই প্রধানশিক্ষক। কিছুদিন পর ছাত্রীকে দিঘার হোটেলে নিয়ে যান ওই প্রধানশিক্ষক।
অভিযোগ, প্রথমে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে ছাত্রীকে নতুন জামাকাপড় এবং হাতখরচ দেওয়ার প্রস্তাব দেন ওই প্রধানশিক্ষক। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে হোটেলের ঘরে ধর্ষণ করা হয়। এমনকী যা ঘটেছে সেটা বাড়িতে জানালে পরীক্ষায় ছাত্রীকে অকৃতকার্য করা হবে বলে হুমকি দেন ওই প্রধানশিক্ষক। কিন্তু ঘটনার কথা বাড়িতে ফিরে এসে জানিয়ে দেয় নির্যাতিতা ছাত্রী। তারপরই সম্প্রতি এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়কে বসে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক গোরাচাঁদ দাস চম্পট দেন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে । এই প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪(এ), ৫০৬ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। এই গ্রেফতারের খবরে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। তবে প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।