সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুতে উত্তেজনা আমবাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ সেপ্টেম্বর ৷৷ মঙ্গলবার শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আমবাসায়৷ অভিযোগ পরিকাঠামো না থাকার কারনে করা যায়নি সিজারিয়ান ডেলিভারি৷ ছিলো না অ্যাম্বুলেন্সও৷ ফলে অটোতে হয়ে যায় প্রসব৷ কিন্তু বাঁচানো যায়নি সদ্যজাত শিশুটিকে৷ জানা যায় এদিন সকালে বাগমারা বানপুইবুল হলাম পাড়া থেকে মঙ্গলরাম রিয়াং তার অন্তঃসত্ত্বা  স্ত্রী রেবা মারাককে আমবাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে৷ সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুলাইস্থিত ধলাই জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেন৷ রেফার করলেও হাসপাতালের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি অ্যাম্বুলেন্স৷ পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে অটো রিকশায় করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে কুলাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে৷ অটোতে উঠানো মাত্রই সেখানে সন্তান প্রসব করে ঐ মহিলা৷ পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনেক কষ্টে সেখানে ডেকে আনা হয়৷ একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় রেবা মারাক৷ পুনরায় আমবাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঐ মহিলা ও শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, সময় মত চিকিৎসা পরিষেবা ও অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে৷ তবে বর্তমানে রেবা মারাক আমবাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন৷এদিকে  এমওআইসি ডাঃ কমল হালামের বক্তব্য, ডেলিভারির ক্ষেত্রে আগে থেকেই সমস্যা ছিল৷ শিশুটির পালস পাওয়া যাচ্ছিল না৷ তাই রেফার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ কিন্তু ওই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়েই ওই মহিলা সন্তান প্রসব করে৷সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ণ উঠেছে এত সিরিয়াস রোগীকে কেন রেফার করার পরও এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো না৷ এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে৷