নয়াদিল্লি, ৭ আগস্ট ( হি.স.) : আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক। সরকারি বিবৃতি জারি করে আগেই বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা এই বৈঠকে। সঙ্গে বলা হয়, নীতি আয়োগের প্রশাসনিক কাউন্সিলের সপ্তম বৈঠক কেন্দ্র-রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সমম্বয়ের নতুন পথ খুলবে।
এদিকে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। শনিবার রাত পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ওই বৈঠকে আসছেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতার কারণে চন্দ্রশেখর ওই বৈঠক এড়িয়ে গেলেও এই নিয়ে কেন্দ্রের পরপর চারটি আমন্ত্রণ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যাওয়ায় দুই শিবিরের দূরত্ব বৃদ্ধির জল্পনা বাড়ল।
সদ্য করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন নীতীশ। শারীরিক দুর্বলতাও তাঁর না আসার অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছে দল। যদিও রাজনীতির অনেকের মতে, ২০২০ সালে বিহারে জেডিইউ ও বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে দু’পক্ষে মতপার্থক্য বাড়ছে। বিরোধী নেতা লালু প্রসাদের দলের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতার পরে জোট আদৌও থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নীতীশের উপরে চাপ বাড়াতে সম্প্রতি পটনায় দলের সাতটি শাখা সংগঠনের দু’দিনের সভা করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আবার রবিবার থেকেই কেন্দ্রের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম)। প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ও বিভিন্ন যুব সংগঠনের ‘ইউনাইটেড ফ্রন্ট’-র সমর্থনে এই প্রচার করা হবে। সংযুক্ত কিসান মোর্চার মতে, দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের যে চেনা ও স্থায়ী পদ্ধতি ছিল তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্প। বিষয়টি নিয়ে তারা বিবৃতিও দেয়। তাতে বলা হয়, ‘কৃষক পরিবার থেকে যাঁরা দেশসেবার কাজে আসতেন তাঁদের জন্য এটা গুরুতর ধাক্কা। ‘ এমন আবহেই আজ নীতি আয়োগের বৈঠক।