কলকাতা, ৬ আগস্ট (হি. স.) : মন্ত্রিসভা থেকে আগেই সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এবার তাঁকে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসন থেকে। বিধানসভা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
বিধানসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সঙ্গে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্বেও ছিলেন পার্থ। তাই কাজের সুবিধার জন্যই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখন তিনি যখন মন্ত্রিসভাতেই নেই, তাই তাঁর আর মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনে বসার যৌক্তিকতাও নেই। তাই তাঁর বদলে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি দেওয়া হবে।
অধিবেশন কক্ষে ট্রেজারি বেঞ্চে মন্ত্রীরা যেখানে বসেন, সেখান থেকেও সরানো হচ্ছে তাঁর আসন। তৃণমূল বিধায়করা যেখানে বসেন, সেখানেই কোনও একটি আসন বরাদ্দ হবে তাঁর জন্য। গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করে তাতে রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দফতর রদবদলের পর পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে ধারে-ভারে যাঁদের গুরুত্ব বেড়েছে, তাঁদের ট্রেজারি বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আসন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নতুন মন্ত্রীদের ঠাঁই হবে তার পাশের ব্লকে। পার্থবাবুর মতো সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া তিন মন্ত্রীর জন্য তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যেই আসন ঠিক করা হবে। পার্থবাবু ছাড়াও যাঁদের আসন বদল করা হচ্ছে তাঁরা হলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী, ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি বরাদ্দ ছিল পার্থের জন্য। দীর্ঘ ১১ বছর তিনি ওই আসনে বসেছেন। এ বার তাঁকে সরানো হচ্ছে সেই স্থান থেকে। বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি পেতে পারেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে এখনই এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে নারাজ বিধানসভার আধিকারিকরা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ আগামী সপ্তাহেই কার্যকর করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।