নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই ( হি.স.) : মতাদর্শের চেয়ে দেশ ও সমাজের স্বার্থ বড় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সমাজ ও দেশের স্বার্থের চেয়ে মতাদর্শ বা রাজনৈতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রাখার চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, মতাদর্শের জায়গা আছে, কিন্তু দেশ ও সমাজ সবার আগে।
সংসদে ক্রমাগত মুলতুবি থাকার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে, সমাজ ও দেশের স্বার্থের উপরে আদর্শ বা রাজনৈতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রাখার চর্চা শুরু হয়েছে। অনেক সময় কিছু বিরোধী দল সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। দলের বিরোধিতা, ব্যক্তির বিরোধিতা যেন দেশের বিরুদ্ধে না হয়ে যায়, এটা নজরে রাখা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। মতাদর্শের জায়গা আছে, তা হওয়া উচিত। আর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, তবে দেশ ও সমাজ সবার আগে।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রয়াত সাংসদ হরমোহন সিং যাদবের ১০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার সময় যখন দেশের গণতন্ত্রকে পিষে ফেলা হয়েছিল, তখন সমস্ত বড় দল একত্রিত হয়েছিল এবং সংবিধান বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছিল। চৌধুরী হরমোহন সিং যাদবও সেই সংগ্রামের একজন যোদ্ধা ছিলেন।
তিনি বলেন, রাম মনোহর লোহিয়ার চিন্তাধারা হরমোহন সিং যাদব তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উত্তরপ্রদেশ ও কানপুরের মাটি থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দেশের রাজনীতিতে তিনি যে অবদান রেখেছেন, সমাজের জন্য যে কাজ করেছেন, তা আগামী প্রজন্মের কাছে দিকনির্দেশনা করবে। হরমোহন সিং যাদব শিখ গণহত্যার বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নেননি, এগিয়ে এসে শিখ ভাই ও বোনদের রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছিলেন। নিজের জীবনকে বাজি রেখে তিনি বহু শিখ পরিবারের জীবন ও নিরীহ জীবন রক্ষা করেছেন। দেশও তার নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাঁকে শৌর্য চক্র ভূষিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অস্তিত্ব গণতন্ত্রের কারণে এবং গণতন্ত্রের অস্তিত্ব দেশের কারণে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ দল, বিশেষ করে সমস্ত অ-কংগ্রেস দলও এই ধারণাটি অনুসরণ করে। দেশের জন্য সহযোগিতা ও সমন্বয়ের আদর্শ জরুরি। জরুরি অবস্থার সময় দেশের গণতন্ত্র যখন গুঁড়িয়ে গিয়েছিল, তখন সব বড় দল, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে সংবিধান বাঁচাতে লড়াই করেছি। চৌধুরী হরমোহন সিং যাদবও সেই সংগ্রামের একজন লড়াকু সৈনিক ছিলেন। অর্থাৎ আমাদের আদর্শের চেয়ে আমাদের দেশ ও সমাজের স্বার্থ বড়।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মের শপথগ্রহণকে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় দিন হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো উপজাতি সমাজের একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি দেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন।