বক্সনগর, ২৫ জুলাই৷৷ ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক ব্যক্তিকে গতকাল গভীর রাতে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে কতিপয় যুবক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনার পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ গুলিবিদ্ধ যুবক বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷
পূর্ব শত্রুতার জেরে মোবারক হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে৷ ব্যবসার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোনামুড়া মহকুমার রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত কিছুদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ জানা যায়, গতকাল রাতে মোবারক হোসেনের সন্তানের প্রচন্ড জ্বর উঠে৷ সারারাত প্রচন্ড অস্থিরতা ও কান্নাকাটি করেন৷ ফলে ছেলের জন্য সারারাত মোবারক হোসেন এবং তার স্ত্রী রোজিনা আক্তারের ঘুম হয়নি৷
এদিকে মোবারক হোসেনের মা রাত আনুমানিক দেড়টা পর্যন্ত তাঁর বাড়িতেই ছিলেন৷ মোবারক হোসেনের মার বাড়িটি একটু দূরে হওয়ায় তিনি দেড়টার পর তার নিজ ঘরে চলে যান ঘুমানোর জন্য৷ রাত আনুমানিক দুটার সময় মোবারক হোসেনের অসুস্থ ছেলের মাথায় জল দেওয়ার জন্য তিনিবাইরে থেকে জল আনার জন্য যান৷ তখন তার স্ত্রী নিজ ঘরের খাটের উপরে তার অসুস্থ পুত্রকে কোলে নিয়ে বসে আছেন৷ স্বামী মোবারক হোসেনের পুত্রের জন্য ঘরে জল এনে পুনরায় ঘর থেকে বের হয়ে একটু যেতেই হঠাৎ একটি শব্দ হয়৷ তখন স্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই দুজন লোক দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন এবং স্বামী মোবারক হোসেন চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়৷
তখন স্ত্রী মোবারক হোসেনের কাছে গিয়ে দেখেন তার পুরো মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়ে আছে৷ তখন তিনি হতভম্ব হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন৷ স্বামী মোবারক হোসেনের তখন জ্ঞান ছিল৷ দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে তিনি তার স্ত্রীকে জানান৷ তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্বামী মোবারক৷
এদিকে স্ত্রীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং মোবারক হোসেনের মা-বাবাও ঘটনা স্থলে এসে পৌঁছায়৷ তখন তড়িঘড়ি একটি গাড়ি করে মোবারক হোসেনকে প্রথমে কলমচৌড়া থানায় এবং পরে বক্সনগর সামাজিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন৷ বর্তমানে মোবারক হোসেন আগরতলা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ মোবারক হোসেনের মুখের নিম্নাংশে গুলি লেগেছে৷
এদিকে গুলির খোলটি কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আনে৷ সোমবার সকালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলমচৌড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন স্ত্রী রোজিনা আক্তার৷ অভিযুক্তরা হল মাইন উদ্দিন, মৈইন উদ্দিন এবং আলাউদ্দিন৷ জানা যায় তাদের বাড়ি রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২ নং ওয়ার্ড এলাকায়৷ এ নিয়ে গোটা রহিমপুর এলাকায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ গভীর রাতে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই রহিমপুর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী৷

