আগরতলা, ২৫ জুলাই৷৷ কালাছড়া ব্লকের অন্তর্গত পূর্ব হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এম জি এন রেগার সিপিআই সাইনবোর্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রামবাসীর৷ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গ্রাম থেকে শহর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকা দিচ্ছে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার৷ কিন্তু ওই টাকা উন্নয়নের নাম করে লুটে খাচ্ছে কিছু সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে গ্রামের প্রধান, উপপ্রধান সহ কিছু চুনোপুটি নেতা৷ তারাই বিজেপি সরকারকে বদনাম করছে৷ জনগণের উন্নয়নের কথা ভাবেনা ওই চুনোপুটি নেতা সহ আমলারা৷ তাই গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে এগিয়ে এলেন সোমবার৷
জানা গেছে, পূর্ব হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২০২১ এর জুন মাসে গ্রামের কাচা নালা অর্থাৎ ড্রেন সংস্কারের কাজ হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে৷ আর সেই কাজগুলোর দায়িত্বে ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুইজন জিআরএস যথাক্রমে প্রাণ কুমার রায় ও বিজিত দাশগুপ্ত৷ তাদের তত্ত্বাবধানে সেই সময়ে বেশ কিছু কাজ করেছিলে জিআরএস৷ আর সেই কাজের সিপিআই বোর্ড না লাগিয়ে এক বছর পর সিপিআই বোর্ড লাগিয়েছেন তাও নিম্নমানের এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের৷
সি পি আই বোর্ডে লেখা রয়েছে একটি বোর্ড বানানোর জন্য সরকার ব্যয় করেছে ৫৪০০ টাকা৷ কিন্তু সেই টাকা খরচ না করে অল্প টাকায় নিম্নমানের বোর্ড বানিয়ে লাগিয়ে দিচ্ছে জিআরএস৷ বোর্ড বসিয়ে যেতে না যেতেই ভেঙ্গে পড়ছে সাইনবোর্ড গুলো৷ উক্ত পঞ্চায়েতের সদস্য, বুথ সভাপতি সহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন ওই সিপিআই বোর্ডটি পাঁচ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয় করা তো দূরের কথা এক হাজার টাকা ব্যয় হয়নি৷ বাকি টাকা কে আত্মসাৎ করেছে সেটাই প্রশ্ন গ্রামবাসীর৷ জিআরএস প্রাণ কুমার রায় ও বিজিত দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা৷ তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক সংশ্লিষ্ট দপ্তর৷ এদিকে পূর্ব হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোটা দুর্নীতির বিষয় নিয়ে গ্রামবাসী সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷