কলকাতা, ১৬ জুলাই (হি.স.) : পুলিশের ভুয়া পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি চক্রের ধৃত ৩, ফেরার ১। শনিবার শিলিগুড়ি প্রধাননগর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিসিপি ইস্ট) কুয়ার ভূষণ সিং।
ডিসিপি জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বালুরঘাটের তিনজন ছাড়াও রয়েছে আরও একজন। তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় আর বড় কোনও চক্রের যোগাযোগ আছে না কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পোশাক থেকে শুরু করে বেল্ট, জুতো, টুপি সবই হুবহু এক। জালিয়তির কোনও অংশ বুঝতে দেওয়ার বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই।
শিলিগুড়ির বাঘাযতীন কলোনি এলাকায় শুক্রবার পুলিশের পোশাক পড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন বেশ কিছু যুবক যুবতী। তবে সবটাই যে জালিয়াতি, তা ফাঁস করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন থানার পুলিশ। পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় পুলিশের প্রচুর উর্দি, টুপি মোবাইল কিছু নগদ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিনজন হল লক্ষ্মণ চৌধুরী, বিশু দাস এবং চন্দ্র দাস। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই জালিয়াতি চলছিল। বাঘাযতীন কলোনি এলাকার বেশ কয়েকজন যুবতীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিল ওই চক্রটি। এমনকি ওই যুবতীদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য তাঁদের পোশাক, জুতো, টুপি, বেল্ট সব দেওয়াও হয়েছিল। প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন বেশ কিছু যুবক-যুবতী। খবর যায় পুলিসের কাছে। এরপরই তাঁদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা জানান, পুলিশে চাকরি পাওয়ার জন্য বালুরঘাটের একটি চক্রকে তারা টাকা দিয়েছিল। সেই টাকার ভিত্তিতেই তাদের সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। খোঁজ শুরু হয় ওই সেন্টারের।