নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুলাই৷৷ সারা ভারত কৃষক সভার পক্ষ থেকে নয় দফা দাবির ভিত্তিতে ডাইরেক্টর অফ এগ্রিকালচারের কাছে ডেপুটেশন পেশ করা হয়েছে৷ ডেপুটেশনের ব্যাপারে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন সারা ভারত কৃষক সভার সভাপতি পবিত্র কর৷ তিনি জানান প্রধান যে বিষয়টির উপর আলোচনা হয়েছে সেটি হল রাজ্যের প্রধান খাদ্য ধান৷ ধানের উৎপাদন রাজ্যে ৪০ শতাংশের বেশি কমে গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি৷ তাই রাজ্যে সার্টিফাইড বীজ যেন সরকারিভাবে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হয় তার দাবি জানানো হয়েছে কৃষক সভার পক্ষ থেকে৷
তিনি আরো জানান, গত দুমাস প্রচুর বৃষ্টি হলেও বর্তমানে বৃষ্টি একেবারেই নেই৷ এ বছর ধানের উৎপাদন আরো কমতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে৷ এদিকে পার্বত্য এলাকায় ধানের জমিতে জল আসার জন্য যে ড্রেনগুলোর ব্যবস্থা করা হতো রেগা এবং টুয়েপের মাধ্যমে সেই কাজগুলিও এ বছর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি৷ তিনি জানান বিগত আমলে উপজাতি এলাকা গুলিতে সেচের ব্যবস্থা করা হতো৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ফান্ডগুলো নেই বলে জানিয়েছেন পবিত্র কর৷
এছাড়াও বর্তমানে কৃষক সমাজে সবচেয়ে জ্বলন্ত সমস্যা রাসায়নিক সারের৷ যদিও বাম সরকারের আন্দোলনের ফলে কিছুটা রাজ্যে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ তবে সেই সারগুলি কৃষকদের হাতে পৌঁছেছে না বলে অভিযোগ৷ পবিত্র কর আরো অভিযোগ করে বলেন, বিগত বাম সরকারের আমলে এডিসি এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রত্যেক জুমিয়াদের তাদের চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হত৷ বর্তমান সময় সেই স্কিম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে৷ ফলে পার্বত্য এলাকায় জুন চাষীদের চাষাবাস অনেকটাই কমে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি৷
এছাড়াও এই দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত রাধা চরণ দেববর্মা বলেন, বাম সরকারের আমলে রাজ্যের চাষাবাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রচুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল৷ বর্তমানে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ৷ তিনি অভিযোগের সুরে বলেন আগামী দিনে ত্রিপুরার অবস্থা শ্রীলংকার মতো হলেও হতে পারে৷ বিজেপি সরকার রাজ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ রাধাচরণ দেববর্মার মতে, রাজ্যে সেচের ব্যবস্থা নেই, ধানক্ষেত গুলিতে জল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কৃষকেরা বীজ পাচ্ছেন না ,সার পাচ্ছেন না৷ রাজ্যে খাদ্যের আকাল দেখা দিতে পারে খুব সহসাই৷ এমনই দাবি করলেন রাধা চরণ দেববর্মা৷